Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি দ. কোরিয়ার আগ্রহ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:৫০ PM
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:৫০ PM

bdmorning Image Preview


নকশি কাঁথা, পাটজাত পণ্য, মাটির তৈজসপত্র বিভিন্ন ধরনের বাংলাদেশি পণ্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করছে দক্ষিণ কোরিয়ান জনগণ।

সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ১ থেকে ৩ নভেম্বর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবং কোরিয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ১ম পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি সপ্তাহে অংশগ্রহণে এ আগ্রহের সৃষ্টি হয়।

সিউলের বিখ্যাত ডিজাইন প্লাজাতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বাংলাদেশসহ মোট ৩০টি দেশ ও বিভিন্ন এসোসিয়েশন অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানটি প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।   

১ নভেম্বর অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিগণ, কূটনৈতিক প্রতিনিধি ও পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে কোরিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লি সি হিউং অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

তিনি সকল অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে, বিভিন্ন দেশ তাদের জন্য নির্ধারিত স্টলে বিভিন্ন ধরনের স্বদেশীয় হস্তশিল্প প্রদর্শন করেন। বাংলাদেশের কারুপণ্য স্টলে ঐতিহ্যবাহী পাটজাতদ্রব্য, নকশী কাঁথা, মাটির তৈজসপত্র, অলঙ্কারসহ দেশিয় পোশাক প্রদর্শন করা হয়। আয়োজনের ২য় দিনে সেমিনার কক্ষে দূতাবাসের ১ম সচিব (রাজনৈতিক) ও দূতালয়প্রধান, বাংলাদেশ সরকারের জনকূটনীতি সংক্রান্ত কার্যক্রমের উপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন যেখানে বাংলাদেশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভাস, বাংলাদেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ইত্যাদিসহ দূতাবাসের জনকূটনীতির বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী এ সময় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জন সম্পর্কে অবহিত হবার পর তাদের এদেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পায়।

এ ধরনের অনুষ্ঠানে সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে কোরিয়ান নাগরিকদের পাশাপাশি উপস্থিত বিভিন্ন দেশের নাগরিক ও কূটনীতিকদের নিকট দেশীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টি তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে। তা ছাড়া তাদেরকে বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন অর্জন সম্পর্কেও অবহিত করা সম্ভব হয়। কোরিয়া সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসার দাবী রাখে। সুতরাং এই ধরনের আয়োজনে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

Bootstrap Image Preview