Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্ত্রী-মেয়েকে দিয়ে নিজ বাড়িতে দেহ ব্যবসা, খুনের পর পুলিশকে ফোন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:১২ PM
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:১২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সিলেটের ওসমানীনগরে অজ্ঞাতনামা (৩৫) এক নারীকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে থানায় ফোন করেছে খুনি। পরে পুলিশ মাটি খঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে দয়ামীর ইউপির দয়ামীর বাজারের কনাইশাহ (র.) মাজারের পশ্চিম পাশ থেকে ওই নারীর মরদেহ তোলা হয়। এর আগে রবিবার রাতে ওই অজ্ঞাত নারীকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন উপজেলার দয়ামীর ইউপির দয়ামীর খালপাড় গ্রামের মৃত হুরমত উল্যার ছেলে আব্দুল বারী (৪০)। অন্যরা হলেন, তার কথিত স্ত্রী পাখি বেগম (২০), তার মেয়ে মোনালিসা (১৩) উপজেলার তাজপুর ইউপির মজলিসপুর গ্রামের জনাব আলীর ছেলে সেলিম মিয়া (৩৫)।

পুলিশ জানায়, নিহত নারী ও কথিত স্ত্রী-মেয়ে এবং বিভিন্ন নারীকে দিয়ে নিজের বাড়িতেই দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন আব্দুল বারী। পরে এক নারীকে হত্যা করেন বারী। তবে ওই নারীকে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা জানাননি বারী।

ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সোমবার বেলা ১১টার দিকে আব্দুল বারী ও অন্য আরেকজন থানায় ফোন করে জানান দয়ামীরে অজ্ঞাত এক নারীকে খুন করে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার অনুসন্ধান করে এর সত্যতা পায়। ঘটনার পুরো সংবাদ জানতে কৌশলে আব্দুল বারীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই নারীকে তার বাড়িতে রোববার রাতে খুন করে দয়ামীর বাজারের পশ্চিমে মাটিচাপা দিয়ে মরদেহ গুমের কথা স্বীকার করেন। খুন করতে তাকে আরও কয়েকজন সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান বারী।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে দয়ামীর বাজারের কনাইশাহ (র.) মাজারের পশ্চিমের খালি জায়গা থেকে মাটিচাপা দেয়া নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, নিহত নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। আব্দুল বারী নিহত নারী ও তার কথিত স্ত্রীসহ বিভিন্ন নারীদের দিয়ে নিজের বাড়িতেই দেহ ব্যবসা পরিচালনা করতেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। তাকে এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview