প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতাদের দুই পক্ষের সংলাপ শুরু চলছে।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে এই সংলাপ শুরু হয়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণভবনে প্রবেশ করে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।
সংলাপে ১৪ দলীয় জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিপরীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. কামাল হোসেন।
সংলাপ শুরুর আগেই যদিও গণভবনের খাবারের মেন্যু নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম হয়। অবশ্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিনয়ের সঙ্গে নৈশভোজের খাবার প্রত্যাখ্যান করে।
এরপর আলোচনা শুরু হওয়ার পর ফাঁকে ফাঁকে খাবার সরবরাহ চলতে থাকে। এসব খাবার তালিকায় ছিল সাদা ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংসের কাবাব, মোরগ পোলাও, বাটার নান, মাটন রেজালা, রুই মাছের দো পেঁয়াজা, চিতল মাছের কোপতা, সুপ, নুডলস, মিক্সড ভেজিটেবল।
এ সময় কয়েক ধরনের সালাদের পাশাপাশি ডেজার্ট হিসেবে ছিল টক দই, মিষ্টি দই ও চিজ কেক। এছাড়াও ছিল কোমল পানীয়, চা ও কফি।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন-
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। নাগরিক ঐক্য থেকে এর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও এসএম আকরাম। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোকাব্বির খান, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ ও ম শফিক উল্লাহ। জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, প্রেসিডিয়াম সদস্য তানিয়া রব। ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর,আ ব ম মোস্তফা আমিন ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের যারা-
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্যাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, রমেশচন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান ও দীপু মনি, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও আইন সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম। এ ছাড়া সরকারি জোটের নেতাদের মধ্যে জাসদ একাংশের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদের আরেকাংশের কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দিন খান বাদল, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া।
এর আগে শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সব দলের অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে অর্থবহ সংলাপ চেয়ে গত ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।এরপর ৩০ অক্টোবর সংলাপের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দেয়া চিঠির জবাব দেয় আওয়ামী লীগ।