রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নির্বাচনে প্রযুক্তির অপব্যবহার সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে সজাগ থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ সময় তিনি কমিশনকে যে কোনো ধরনের বিতর্ক এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে কমিশনের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলকে এ আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, সাক্ষাতের সময় সিইসি একাদশ সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন। সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার প্রস্তুতি এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের খুঁটিনাটি দিক সম্পর্কেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রচেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর আগামী রোববার বৈঠকে বসবে কমিশন। ওই বৈঠকে নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হবে। পরে তা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ঘোষণা করবেন সিইসি নুরুল হুদা।
প্রতিনিধিদলের বাকি সদস্যরা হলেন- চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
এ দিকে বৈঠকের পর সিইসি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে আগামী ৪ নভেম্বর রবিবার কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তারপর যেদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়া হবে, সেদিন তফসিল ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ একটি আনুষ্ঠানিকতা। নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে তাকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।