ছেলের দৈহিক চাহিদা পূরণে বাধা দেয়ায় গৃহকর্মীকে হত্যার অভিযোগে মা নাসরিন বেগম টপিকে (৪৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর।
মঙ্গলবার ভোররাতে মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের বন্দরশংকরপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই। দীর্ঘ আট বছর পর মধুখালী উপজেলার গৃহকর্মী সীমা হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার জানান, মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের বন্দরশংকরপুর গ্রামে মো. শাহজাহান খানের বাড়িতে কাজ করতো পৌরসভার পশ্চিম গাড়াখোলার বাসিন্দা মৃত তৈমুর শেখের মেয়ে সীমা (১১)। এরপর গত ২০১০ সালের ০৫ অক্টোবর শাহজাহান খানের ছেলে বাবু খাঁ ও তার এক সহযোগী শারীরিক চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে সীমার কাছে গেলে এতে সে বাধা দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে বাবু খাঁ, তার মা নাসরিন বেগম টপি ও এক সহযোগী সীমাকে আঘাত করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ বিষয়ে ওই সময় প্রথমে মধুখালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়। অপমৃত্যু মামলাটি থানা ও ডিবি কর্তৃক চূড়ান্ত রিপোর্ট বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে সীমার ফুপু সালেহা বেগম বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ৪নং আমলি আদালত ফরিদপুরে অভিযোগ করলে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মধুখালী থানার মামলাটি পেনাল কোডে রুজু হয়।
কানাই লাল সরকার আরও জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে অত্র মামলার অধিকতর তদন্তভার গ্রহণ করে মামলার ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে পিবিআই ফরিদপুর।
এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ আট বছর পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নাসরিন বেগম টপিকে তার নিজ বাড়ি মধুখালী উপজেলার বন্দরশংকরপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার অপর আসামি বাবু খান ও তার সহযোগীকে আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে।