বাংলাদেশের বিনির্মাণে শেখ হাসিনা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার বিদ্যুৎ খাতে আমুল পরিবর্ত এসেছে। বর্তমানে ঢাকা শহরে লোডশেডিং নেই বললেই চলে। আর দেশের উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে বিদ্যুৎ সেবা। তাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দেওয়ার জন্য ডিপিডিসি কাজ করে যাচ্ছেন।
ডিপিডিসির দশ বছর পূর্তিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব কায়কাউস এসব কথা বলেন। আজ বুধবার বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সচিব আরও বলেন, দশ বছর আগে ডিপিডিসির যখন জন্ম হয়েছিল তখন অনেক প্রতিকূলতা ছিল। এখন আমরা সেই প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে প্রতিনিয়তই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আগামী দশ বছর যদি আমরা নিরলসভাবে কাজ করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ বিভাগের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শফিকউল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ বিভাগের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব বলেন, হাঁটিহাঁটি পা পা করে দশটি বছর পার করেছে ডিপিডিসি। যে লক্ষ্যে নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছিল সেদিকে এ প্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে ধাবিত হচ্ছেন। মূলত ঢাকা ও নারায়নগঞ্জসহ এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি জেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য ছিল। আমাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা আজ সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। তবে এই সাফল্যে নিয়ে আমাদের বসে থাকলে হবে না। আমাদের কাজ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যেতে লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, দীর্ঘ দশ বছরে ডিপিসি অভূতপূর্ব সাফল্যে অর্জন করেছে। যদিও আমরা এখনো আশানুরূপ লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারিনি। তবে অচিরেই এ প্রতিষ্ঠান একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। সরকার কর্তৃত ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দেওয়া এবং তাদের অভিযোগগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা। অনুষ্ঠানে শুদ্ধাচার চর্চার জন্য প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরী(নারায়ণগঞ্জ পূর্ব) ও বিদ্যুৎ বিভাগের অফিস
সহকারী সৈয়দা ইসমত আরাকে এক মাসের বেতনের সম-পরিমাণ টাকা দিয়ে পুরষ্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।