দেশের সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে। মালয়েশিয়া সফররত বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের দুই দফা বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার(২৫সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী কুলা সেগারান নেতৃত্ব দেন। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের অচলাবস্থা কাটাতে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির এ বৈঠকটি হয়।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর একান্ত সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বছর দেশটিতে ২ লাখেরও বেশি দেশটিতে বাংলাএশের ১০ লাখের বেশি কর্মী কাজ করছেন। জি টু জি প্লাস পদ্ধতিতে এই কর্মী এলেও ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যায় এর অনলাইন সিস্টেম এসপিপিএ।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আগের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের বৈধ সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
কুয়ালালামপুরে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম জানান, যারা অবৈধ অবস্থান কারীদের বৈধ করা এবং ১০ বছরের বেশি ভিসা দেওয়ার বিষয়েও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। নতুন অনলাইন সিস্টেম চালুর আগ পর্যন্ত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সব কাজ চলবে।
বৈঠকে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত মুহা. শহিদুল ইসলাম, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, অতিরিক্ত সচিব ড. মনিরুল সালেহিন (কর্মসংস্থান), উপসচিব মোহাম্মদ সাহিন (কর্মসংস্থান), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি ও একজন উপসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধি, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব, দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।