ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফোরলেনের দুপাশে অবৈধ বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। এতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও ঢাকা পড়ে গেছে। রাস্তার পাশে গড়ে উঠা আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন সহ সরকারি-বেসরকারি মালিকানাধীন জমিতে কোথাও না কোথাও প্রতিনিয়ত অবৈধ ভাবে বিলবোর্ড টানানো হচ্ছে। আর্থিক চুক্তির মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও অজ্ঞাত কারণে রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
সরেজমিন ঘুরে স্থানীয় একাধিক সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, মীরসরাই উপজেলার বড়দারোগারহাট, ছোট কমলদহ, নিজামপুর, হাদিফকিরহাট, বড়তাকিয়া, মীরসরাই, মিঠাছরা, সোনাপাহাড়, বারইয়াহাট, ধূমঘাট, ব্যস্ততম বা ফাঁকা স্থানে মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে রয়েছে কমপক্ষে শতাধিক ইউনিপুল সাইন ও বিলবোর্ড কোনটি উচুঁ ভবনে কোনটি বা রাস্তার পাশে, কৃষি জমিতে, সরকারি অথবা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে। বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো এসকল বিলবোর্ড থেকে প্রতিবছর কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও রাস্তার পাশে থাকা বিজ্ঞাপনী এই ইউনিপুল সাইন ও বিলবোর্ড থেকে সড়ক বিভাগ অজ্ঞাত কারণে কোন অর্থই আদায় করতে পারছে না।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মহাসড়কে স্থাপিত হয় সাধারণত দু'ধরনের বোর্ড একটি ইউনিপুল সাইন অপরটি বিলবোর্ড ষ্ট্রকাচারাল। কোম্পানীগুলো এ সকল বিজ্ঞাপন টানানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ মেয়াদে বোর্ড নির্মাণ করে। অন্য কোম্পানী তাদের থেকে ভাড়া নেয় বাৎসরিক চুক্তিতে। ষ্ট্রাকচারাল কোম্পানীগুলোর জায়গা বা ভবনের মালিকদের সাথে চুক্তি করে বোর্ড নির্মাণ করে। এ সকল বোর্ড নির্মাণে ৫-১০ বছরের চুক্তি হয়। তাদের থেকে বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো কোন কোন ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানীর মালিকরা এসকল বোর্ড ভাড়া নিয়ে তাদের পণ্যের প্রচারনা চালায়। এ সকল বোর্ডে প্রতি বর্গ ফুট সর্বোচ্চ ৫'শ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ভাড়া বাৎসরিক ২৫০ টাকা।
সরেজমিন ঘুরে পাওয়া তথ্যে জানা যায় মহাসড়কের চট্টগ্রাম এলাকার বিভিন্ন অংশের রাস্তার দু'পাশে রয়েছে শতাধিক ইউনিপুল সাইন ও বিলবোর্ড। এসকল বিজ্ঞাপন বোর্ডের প্রতিটির সাইজ সর্বনিম্ন ৪৫০ বর্গফুট থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার বর্গফুট। যা বাজার মূল্যে প্রায় কোটি টাকার উপরে বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো এ সকল বোর্ড বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিকট বাৎসরিক হিসেবে ভাড়া প্রদান করে। অপরান্তে সরকার পাচ্ছে না কোন প্রকার রাজস্বই।
এই বিষয়ে চট্টগ্রামের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম অংশে কোন বিলবোর্ডেরই অনুমোদন নেই, এইগুলো অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে। তবে উচ্ছেদ এর বিষয়ে ও একটি বিজ্ঞাপনী সংস্খার আদালতে রীট থাকায় উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।