বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ৫১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল নিয়ে নিয়োগপ্রত্যাশীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫১ হাজার ৭৬১টি শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগের ফলাফল আসার কথা ছিল গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এমনটাই জানিয়েছিলেন।
কিন্তু কয়েক দফা হালনাগাদের পর ৩৮ হাজার ২৮৬ পদের ফল জানানো হয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৬১০ জন। আর নন-এমপিও ৩ হাজার ৬৭৬ জন। বাকি ১৩ হাজার ৪৭৫ পদ নিয়ে বেধেছে বিপত্তি। এই পদগুলোতে কোনো যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার সদস্য এ বি এম শওকত ইকবাল শাহীন।
শওকত ইকবাল শাহীনবলেন, ‘আমাদের মোট ৫১ হাজার ৭৬১টি শূন্যপদের বিপরীতে সুপারিশের কথা ছিল। কিন্তু মেরিট ও কোটা কোনোটির ভিত্তিতেই যোগ্য আবেদনকারী না পাওয়ায় বাকি পদগুলোতে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি।’
বাকি ১৩ হাজার ৪৭৫ পদের নিয়োগ কীভাবে হবে–এমন প্রশ্নের জবাবে শওকত ইকবাল বলেন, ‘পরবর্তী গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই পদগুলো পূরণ করা হবে।’ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য যাঁদের সুপারিশ করা হয়েছে, তাঁদের করণীয় সম্পর্কে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, সুপারিশপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিয়োগপত্র প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ও সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি এবং এনটিআরসিএ থেকে দেওয়া সুপারিশপত্র সংযুক্ত করতে হবে। নিয়োগপত্র পাওয়ার পর নিয়োগপত্রে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হবে।