Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৮ দিন শাটডাউন শিথিল, ১৪ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২১, ১১:৫৭ AM
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২১, ১২:০০ PM

bdmorning Image Preview


করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের মধ্যেও কোরবানি ঈদ ও পশুর হাট বিবেচনায় নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া চলমান কঠোর লকডাউন শিথিলের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। 

১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদ উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনিত কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

কেন শিথিল করা হচ্ছে?

শাটডাউন শিথিলের পেছনে বড় কারণ ঈদুল আজহা।

কোরবানির পশু ঘিরে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য, খামারি, ক্রেতা-বিক্রেতা সবার কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্তে এসেছে সরকার। এর সঙ্গে আছে প্রিয়জনদের কাছে গিয়ে ঈদ উদযাপনের প্রবণতা।

শাটডাউন শিথিলের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে রাজি হননি করোনা পরিস্থিতি ও বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কমিটির আহ্বায়ক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি জানান, জীবিকা এবং জীবনের তাগিদে সবদিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘(কোরবানি ঈদের) অল্প কয়েক দিন রয়েছে। অনেকগুলো ফ্যাক্টর এখানে রয়েছে। এই যে খামারিরা তাদের পশুগুলো এত দিন ধরে কোরবানির জন্য তৈরি করেছে, এই খামারিরা যদি বিক্রি করতে না পারেন, তাহলে আগামী আরও এক বছর… এই ষাঁড় গরু তো দুধ দেয় না, বিক্রি করে যা পাওয়ার সেটা পেতে হবে। না হলে আরও এক বছর পালতে হবে এই ষাঁড় গরু।’

ব্যবসায়ীদের দিক থেকে চাপ আছে বলে ইঙ্গিত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দোকানমালিক সমিতির যারা আছেন, তারা কিন্তু এই দুই ঈদের জন্য বসে থাকেন। এসব কিছু চিন্তাভাবনা করে জীবিকা এবং জীবনের তাগিদে যা কিছু প্রয়োজন, সেগুলো মাথায় রেখে যা কিছু করার নির্দেশনা দেবে।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যথাসময়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারের সিদ্ধান্ত জানাবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপ সামাল দিয়ে যাত্রা নির্বিঘ্ন করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

দুই মাস আগে রোজার ঈদে বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রেখেছিল সরকার। কিন্তু এসব বাধা উপেক্ষা করে ঈদের আগে ঘরমুখী হয় মানুষ। ফেরিঘাটে ঘরমুখী মানুষের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছিল সরকার। কর্তৃপক্ষের অনুরোধ তোয়াক্কা না করে বাড়িমুখী হয়েছিল লাখ লাখ মানুষ।

গত ১২ মে মাদারীপুরের বাংলাবাজারে দুটি ফেরি থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ভিড়ের চাপে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় পদদলিত হয়ে আহত হয় অর্ধশতাধিক। এসব ঘটনা এড়াতে এবারের ঈদে গণপরিবহন চালু রাখতে চাচ্ছে সরকার।

বর্তমান সময়ে করোনার যে উচ্চগতির সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে, সেটার কারণ হিসেবে রোজার ঈদে সরকারের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে মানুষের বাড়ি ফেরাকে দোষারোপ করছেন কর্মকর্তারা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, রোজার ঈদে মানুষজন যেভাবে বাড়ি গিয়েছেন, সে বিষয়গুলোকে এবার চিন্তায় রেখেছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। তাই গণপরিবহন খুলে দেয়াকে অপেক্ষাকৃত ভালো সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন তারা।

 

Bootstrap Image Preview