Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

১৮ মণের ‘নবাবে’র দাম ৯ লাখ টাকা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২১, ০২:৩৯ PM
আপডেট: ২২ জুন ২০২১, ০২:৩৯ PM

bdmorning Image Preview


১৮ মণ ওজনের শাহি ওয়াল জাতের ষাঁড়টির আদর করে নাম রাখা হয়েছে ‘নবাব‘। যার দৈর্ঘ্য ৮ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। এবার কোরবানির হাটে ওই ষাঁড়টি তোলা হবে; এর দাম হাঁকা হয়েছে ৯ লাখ টাকা।

এই ষাঁড়ের মালিক শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কোব্বাস মাদবরের কান্দি গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী গৃহিণী হাবিবুন্নেছা (২৪)। তিনি কোরবানির ঈদে ষাঁড়টি বিক্রি করবেন। গরুটি দেখতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে তার বাড়িতে লোকজন আসছেন। তার দাবি, শরীয়তপুরে এটিই সবচেয়ে বড় গরু।

ব্যবসায়ী নুরে আলম তালুকদার জানান, ২০১৭ সালে ৫০ হাজার টাকায় একটি গাভী কিনে পালন শুরু করেন হাবিবুন্নেছার বাবা নুর মোহাম্মদ ঢালী। পাকিস্তানির শাহি ওয়াল জাতের ষাঁড়ের সিমেন ব্যবহার করে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ২০১৮ সালে জন্ম হয় এ ‘নবাবের’।

জন্মের পর বাছুরটি দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। পরে নুর মোহাম্মদ ঢালীর কাছ থেকে বাছুরটি ৪৫ হাজার টাকায় কিনে আনেন তার মেয়ে হাবিবুন্নেছা। প্রয়োজনমতো খাবার ও পরিচর্যায় এর আকৃতি বাড়তে থাকে।

দিন দিন গরুটির ওজন বেড়ে ৭২০ কেজিতে এসে দাঁড়ায়। পশু চিকিৎসকদের সহযোগিতায় ডিজিটাল স্কেলের মাধ্যমে গরুটির ওজন নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বছর গরুটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবাবের মালিক হাবিবুন্নেছা। তিনি দাম চাইছেন ৯ লাখ। এখন পর্যন্ত দাম হয়েছে তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা। তবে ছয় লাখ টাকার কমে বিক্রি করবেন না বলে জানিয়েছেন নবারের মালিক।  

হাবিবুন্নেছার স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী ইসমাইল মাদবর বলেন, এ ধরনের গরু লালন-পালন খুবই কষ্টকর। আমি মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন আমার স্ত্রী নবাবকে লালন-পালন করেছেন। আমি গত মে মাসের ১৯ তারিখে বাংলাদেশে ফিরেছি। নবাবকে আমাদের পরিবারের একজন সদস্যের মতো করে সবাই মিলে যত্ন নিয়ে বড় করছি। অনেক শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। তবে ৯ লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।’

তিনি আরও জানান, নবাবের খাদ্যতালিকায় রয়েছে কাঁচাঘাস, খড়, গমের ভুসি, চালের কুঁড়া, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া ও ছোলা। সব মিলিয়ে দিনে ২০-২৫ কেজি খাবার খায় নবাব।

জপসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নুরজামাল মাদবর বলেন, হাবিবুন্নেছা নবাবকে লালন-পালন করে বড় করেছেন। এই কোরবানিতে গরুটি বিক্রি করবেন। এর দাম ধরা হয়েছে ৯ লাখ টাকা। তবে এখনই পাইকাররা দাম বলছেন চার লাখ টাকা। এত বড় গরু আগে কখনও দেখিনি।

হাবিবুন্নেছা বলেন, আদর করে ষাঁড়টির নাম রেখেছি ‘নবাব’। আমার খুব আদরের ‘নবাব’। যত্ন করে লালন-পালন করেছি। সে আমার পরিবারের সদস্যর মতো।

নড়িয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, আমার জানামতে, শরীয়তপুর জেলার কোথাও এত বড় ষাঁড় নেই। আমরাও ষাঁড়টির খোঁজখবর নিচ্ছি। ষাঁড়টির মালিক হাবিবুন্নেছা একজন সফল উদ্যোক্তা।

Bootstrap Image Preview