স্মার্টফোন কিনতে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে ঋণ, এখনি আবেদনের আহ্বান

অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্মার্টফোন কিনতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ঋণ দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। এই ঋণ দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। তবে সবাইকে এই ঋণ দেয়া হবে না। অসচ্ছল শিক্ষার্থী যাদের নাম ‘শিক্ষার্থীদের সফট লোন’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে, কেবল তারাই আবেদন করতে পারবেন।

ঋণের পরিমাণ আট হাজার টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর অথবা চারটি কিস্তিতে বা এককালীন এ টাকা পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীর নামে কোনো ট্রান্সক্রিপ্ট ও সাময়িক/মূল সনদ ইস্যু করা হবে না। শর্তগুলো আরেকটু সহজ হলে ভালো হতো বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। এ জন্য তিনি ইউজিসির সঙ্গে কথা বলতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান।

এই শর্তে ঋণ নিতে ইচ্ছুকদের আগামী ১৫ জুনের মধ্যে নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করতে বলা হয়েছে। ফরমটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (www.du.ac.bd) ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত Du Forms এর অন্তস্থ Student Softloan সেকশনে পাওয়া যাবে।

সেখান থেকে ফরমটি ডাউনলোড করে পূরণের পর নিজ নিজ বিভাগ/ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান/পরিচালকের কাছে জমা দিতে হবে।

ঋণ নিতে ইউজিসির দেয়া শর্তগুলো হলো: 

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত অসচ্ছল শিক্ষার্থী যাদের নাম ‘শিক্ষার্থীদের সফট লোন’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে, কেবল তারাই আবেদন করতে পারবেন।

২. ঋণের সর্বোচ্চ সিলিং ৮ হাজার টাকা, যা সুদমুক্ত। এসব টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে পাঠাতে হবে।

৩. শিক্ষার্থীদের জরুরি ভিত্তিতে সোনালী/জনতা/অগ্রণী ব্যাংকের যেকোনো একটি শাখায় নিজ নামে ব্যাংক হিসাব খুলে নিজ নিজ বিভাগ/ইনস্টিটিউটকে জানাতে হবে ।

৪. সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন কেনার ভাউচারটি বিভাগ/ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সফট লোন অনুমোদন কমিটির সদস্যসচিবের কাছে জমা দিতে হবে।

৫. ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময়ে এককালীন অথবা চারটি সমান কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।

৬. ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত না দেয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর নামে কোনো ট্রান্সক্রিপ্ট ও সাময়িক/মূল সনদ ইস্যু করা হবে না।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ হাজার ৫০১ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বিনা সুদে আট হাজার টাকা করে ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউজিসি।

ওই তালিকায় সবচেয়ে বেশি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৮ হাজার ৫৫৬ শিক্ষার্থী ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন।