করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে গত ১৪ এপ্রিল কঠোর লকডাউন দেয় সরকার। তবে মানুষের জীবন-জীবিকার তাগিদে আগামী ২৮ এপ্রিলের পর দেশে আর লকডাউন থাকছে না। তবে চলমান লকডাউনের পর শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহন চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকালে বরিশাল সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে এ সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
লকডাউন শিথিল হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে যে ভাড়া নির্ধারণ ছিল, সেই ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশ-বিদেশে যে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে, তার অর্থের যোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষকতা হচ্ছেন দেশের একটি রাজনৈতিক দল। অপপ্রচার আর গুজবের জন্য যাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়, তাদের ব্যাপারে বিরোধীদল ডিজিটাল নিরাপত্তা বিরুপ সমালোচনা করে থাকে। সাইবার ক্রাইম ও ডিজিটাল নিরাপত্তা সরকারের অ্যাকশানের বাইরে থাকবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা জনগণকেই দিতে হবে, গুজব আর অপপ্রচার নিরাপত্তাকে মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত করে।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন প্রতিদিন বিরোধীদল সরকারের বিরুদ্ধে যা নয় তাই বলে, প্রধানমন্ত্রীকেও ছাড়ছেন না অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে, কিন্তু সেখানে কারো বিরুদ্ধে কি এসব বক্তব্যের কোনো প্রকার হয়রানি বা গ্রেফতার করা হচ্ছে?