Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মামুনুল হকের ‘মানবিক’ বিয়েতে ভয় পেয়ে যায় রফিকুল!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১২:২৪ PM
আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১২:২৪ PM

bdmorning Image Preview


রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নেত্রকোণা থেকে আটক করে র‌্যাব। নেত্রকোণার পূর্বধলার লেডির কান্দার নিজ বাড়ি থেকে মাদানিকে আটক করা হয় বলে বুধবার দুপুরে নিউজবাংলাকে জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ইমরান খান।

জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল ইসলাম মাদানীর একটি কথিত বিয়ের বিষয়েও জানতে পারে র‌্যাব। খায়রুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি তার এক আত্মীয়কে গোপনে কলেমা পড়ে বিয়ে করেন। তাদের এই বিয়ের কোনো কাবিননামা করা হয়নি। দুই পরিবারের কেউই এই বিয়ের কথা জানতেন না।

মামুনুল হকের রিসোর্ট-কাণ্ডের পর ভীত হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে রফিকুল ইসলাম মাদানী তার মা ও পরিবারের স্বজনদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ফুলপুরের রহিমগঞ্জে ওই নারীর বাড়িতে যান। কিন্তু মাদানীকে পছন্দ না হওয়ায় ওই নারীর বাবা বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন

মাদানিকে নেত্রকোণা থেকে আটক করার পর হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব।

পরে মাদানীকে উদ্ধৃত করে র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘কী আর বলমু স্যার, জোশের কারণে অনেক সময় হুঁশ থাকে না। ওয়াজের মঞ্চে উঠলে শরীরে একটা জোশ চলে আসে। তখন আর নিজেরে ধরে রাখা যায় না। অনেক কিছু না বুঝেই বলে ফেলছি। আর এমন হবে না। এবারের মতো আমারে মাফ করে দেন।’

টেলিফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম।

খর্বকায় ও শিশুতোষ কণ্ঠের অধিকারী হওয়ায় রফিকুল ইসলাম মাদানীকে অনেকে ‘শিশুবক্তা’ বলে মনে করলেও তিনি নিজে দাবি করেছেন, তিনি মোটেও শিশু নন। তার বয়স ২৬ বছর।

এর আগে ২৫ মার্চ মতিঝিল এলাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী মিছিল ও ভাঙচুরের সময় রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছিল রমনা থানার পুলিশ। সেখানেও তিনি মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন, আর এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেবেন না।

সে কথা না রাখার কারণ জানতে চাইলে মাদানী র‌্যাবকে বলেন, পুলিশের আটকের বিষয়টি তিনি ‘সিরিয়াসলি’ নেননি। ভেবেছিলেন, জনপ্রিয়তার কারণে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে না।

মাদানি নেত্রকোণার একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে ঢাকার বারিধারার জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করলেও কোরআন চর্চার চেয়ে তার জনপ্রিয়তার দিকে ঝোঁক বেশি বলে মনে করেন জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্বে থাকা র‌্যাবের একাধিক কর্মকর্তা।

তারা বলেন, ওয়াজে তার আলোচনার মূল বিষয় থাকে সমসাময়িক রাজনৈতিক ইস্যু। যেকোনো ওয়াজে তার উদ্দেশ্যই থাকে উপস্থিত মুসল্লিদের উত্তেজিত করে জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা করা।

এদিকে শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীর নামে গাজীপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে র‌্যাব।

জেলার গাছা থানায় মামলাটি করা হয় বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম।

Bootstrap Image Preview