Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘মামুনুলকে হেফাজত থেকে অবিলম্বে বহিষ্কার করা উচিত'

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১২:৪৯ PM
আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১২:৪৯ PM

bdmorning Image Preview


নরেন্দ্র মোদিবিরোধী হেফাজতের আন্দোলনে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে বেশ সরব ছিলেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। কিন্তু সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে সংঘটিত ঘটনায় তিনিও প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন। মামুনুল হককে একজন ‘জঘন্য ব্যক্তি’ আখ্যায়িত করে গতকাল তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া যখন পুড়ছে তিনি তখন রিসোর্টে গেছেন ফুর্তি করতে। ফুর্তি করুন অসুবিধা নেই; কিন্তু বউ আসল কি না তার প্রমাণ দিতে হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে আলেম-উলামাদের মানুষ সমীহ করে চলে। কিন্তু মামুনুল হক তাদের ইজ্জত মেরেছেন। হেফাজত থেকে তাঁকে অবিলম্বে বহিষ্কার করা উচিত।’

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক একই সঙ্গে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবং মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক। হেফাজতের মধ্যে নানা কারণে জনপ্রিয়তা থাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি হেফাজতে প্রভাব বিস্তার করে আছেন। অনেকের মতে, এ কারণে তিনি কিছুটা বেপরোয়া হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এ জন্য রিসোর্টে অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রথম দিকে তাঁর পক্ষে সোচ্চার হলেও আস্তে আস্তে ঘটনা প্রকাশিত হয়ে পড়ায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হতে শুরু করেছেন।

জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় দলের ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার জন্য তহবিল গঠন করে সেখানে যাওয়ার আগের দিন শনিবারই ওই ঘটনায় হেফাজতের নেতারা আরো ক্ষুব্ধ হয়েছেন। 

তা ছাড়া দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা, একেকবার একেক নাম বলা, বন্ধুর সাবেক স্ত্রীকে ‘মানবিক কারণে বিয়ে করার’ যে বক্তব্য মামুনুল হক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছেন, তা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা ও বিদ্রূপ চলছে। 

হেফাজতের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মামুনুল হকের অতিমাত্রায় উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্যে এর আগেও হেফাজতকে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। ভাস্কর্য ও নরেন্দ্র মোদির সফর ইস্যুতে তাঁর উসকানিমূলক কথাবার্তায় হেফাজতের মুরব্বিরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু জনপ্রিয়তার ওপর ভর করে মামুনুল হক কাউকে তোয়াক্কা করেননি এবং একচেটিয়া বক্তব্য চালিয়ে গেছেন।

এদিকে তাঁর গোপন বিয়ের বিষয়টি নিয়ে আলেমসমাজের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। অনেক আলেম-উলামা এ ঘটনায় মামুনুল হকের বিচার চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারির বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় চলছে। আজহারি বলেছেন, গোপনে বিয়ে করা বা বিয়ে গোপন রাখা ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী কঠিন অপরাধ। হজরত ওমর (রা.) এ ধরনের ব্যক্তিদের কঠিন শাস্তি দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। সার্বিক প্রেক্ষাপটে হেফাজতের পদ থেকে মামুনুল হককে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে মনে করেন বেশ কয়েকজন নেতা।

Bootstrap Image Preview