আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভেতরে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। সেই দ্বন্দ্ব সমাধান না করে প্রতিনিয়ত বিএনপিকে নিয়ে সমালোচনা করছেন। নিজেদের ঘরে মারামারি করে একজন সাংবাদিক, একজন রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা করেছেন। এই অবস্থায় ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ করা উচিত।‘
শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। টানা ২২ বছর পর কৃষক দলের এই জাতীয় সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এই দাবি জানান।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। সেখানে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মারামারিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার দেশকে শোষণ করছে। সুকৌশলে রাষ্ট্রের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগের এখন কোনো স্বাধীনতা নেই। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার কোনো ভিত্তি নেই। সেই মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গুরুতর অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে দিনে দিনে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে চেয়েছেন সেটাও আপনারা দেন নাই। আপনারা তাকে বাংলাদেশে রেখেই চিকিৎসা করতে বলছেন। যেখানে তার চিকিৎসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে দিনে দিনে।
বিএনপির মহাসচিবের ভাষ্য, সরকার এখনো কৃষকের কোনো উপকার করেনি। নির্বাচনের আগে তারা বলেছিল, বিনা মূল্যে সার দেবে, ১০ টাকায় চাল দেবে। কিন্তু কৃষকেরা তা পায়নি। কৃষকদলকে এই বিষয়গুলো নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য আদায় করে নিতে হবে। তাঁদের সেচ, স্বাস্থ্য, সন্তানদের পড়াশোনার দাবিগুলো তুলে ধরতে হবে।
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ১৬ মে। সকাল ১০টায় মহানগর নাট্যমঞ্চের প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা ও দলীয় উত্তোলন, রঙিন বেলুন ও সাদা কবুতর উন্মুক্ত করে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব ও আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু। এই সময়ে জাতীয় সঙ্গীত এবং পরে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।