Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পুলিশকে বুক চিতিয়ে গুলি খাবার জন্য অস্ত্র দেয়নি সরকার: বেনজীর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৬:৫৪ PM
আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৬:৫৪ PM

bdmorning Image Preview


বুক চিতিয়ে গুলি খাবার জন্য পুলিশকে অস্ত্র দেয়নি সরকার, প্রয়োজনেই অস্ত্র ব্যবহার করে পুলিশ। কক্সবাজারে ক্রসফায়ার প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।

কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের উদ্বোধন করে একথা বলেন তিনি। অস্ত্রধারীরা যদি অস্ত্র ব্যবহার করে; আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও অস্ত্র ব্যবহার করবে বলে হুশিয়ারি দেন বেনজির আহমেদ। এছাড়া পুলিশ হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়ার কাজ চলছে বলে জানান তিনি। আগামী বছর থেকে ক্যান্সারের চিকিৎসা দেয়া হবে।

বেনজীর আহমেদ আরও জানান, পুলিশ মেডিকেল সার্ভিস গঠনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

প্রায় পাঁচমাস পর গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হলে কি আমাদের লোকজন বন্দুক ফেলে পালিয়ে চলে আসবে? জাকির কুখ্যাত ডাকাত, কক্সবাজারে গিয়ে খবর নেন। গত তিন বছরে তার কাছ থেকে কমপক্ষে দেড়শ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল যখন গোলাগুলিতে সে মারা গেছে তখনও তার কাছ থেকে নয়টা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যখন এ ধরনের কোন বিপদজনক আর্ম গ্যাং গুলি করবে, তখন কি আমরা শহীদ হয়ে চলে আসবো?

যেখানে আর্ম গ্যাং আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করবে সেখানে আমরা প্রয়োজনের নিরিখে জীবন রক্ষার জন্য সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করবো। সরকারি অস্ত্র দেওয়া হয়েছে সেটাকে প্রতিহত করবার জন্য। সরকার অস্ত্র দিয়েছে লাঠি হিসেবে ব্যবহারের জন্য না। লাঠি একরকম আর লিথেল উইপন আরেকরকম। সরকার যদি শুধু লাঠি দেয়, আমরা লাঠিই ব্যবহার করবো।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এলাকার মানুষ জানে, জাকির ডাকাত কী জিনিস, তার হাতে কতো লোক অপহৃত হয়েছেন আর কতোজন মারা গেছেন। তাই যেটা হয়েছে, সেটা আমি মনে করি প্রয়োজন হলে হবে, না হলে হবেনা। এখানে ঘোষণা দিয়ে চালু করা বা বন্ধ করার কোন বিষয় নাই।

এর আগে সিপিএইচ’র নবনির্মিত ভবন প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, গত বছরে মার্চে অতিমারী করোনার আবির্ভাব ঘটে, আর এতে সবচেয়ে বড় ক্যাজুয়ালিটি হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের। করোনায় প্রায় ৮৩ জন সদস্য শাহাদাত বরণ করেছেন, সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে ২১ হাজার সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল একটি জেনারেল হাসপাতাল ছিলো, কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে আমরা এটিকে দ্রুত কোভিড হাসপাতাল হিসেবে রূপান্তর করি।

নতুন ভবনের ফলে এ হাসপাতালের আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিইউ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা খুব চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নানা কারণে পুলিশে হার্টের রোগী, লাং, কিডনী ও ক্যান্সারের রোগী প্রচুর। প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচ করি তাদেরকে বাইরে ট্রিটমেন্ট করানোর জন্য। এ হাসপাতালকে একটা পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল তৈরির চেষ্টা করছি, যাতে সব ধরনের চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়। আজকে যে ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পেয়েছয়েছে এরপর বাকি থাকবে আর ক্যান্সার ইউনিট, আশা করছি আগামি বছর এটি চালু করা সম্ভব হবে।

আজকের পর এখানকার চিকিৎসা সুবিধা অনেক বেশি সম্প্রসারিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বিভাগীয়-জেলা পুলিশ হাসপাতালগুলোকে উন্নত করার চেষ্টা করছি, যা পর্যায়ক্রমে করা হবে। পুলিশ মেডিকেল সার্ভিসেরও চেষ্টা চলছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিষয়ে একাধিকবার সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ পর্যায়ে বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। সরকার অনুমোদন দিলে আমরা মেডিকেল কলেজ বানাবো।

Bootstrap Image Preview