১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইনস ডে। এর আগেই জোগাড় করতে হবে বয়ফ্রেন্ড। নাহলে কলেজে প্রবেশ নিষেধ। এমনই একটি নোটিশ ঝোলানো হয়েছে কলেজে। আর এ নোটিশে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ওই কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আগ্রাবাদের একটি কলেজে।
সম্প্রতি ভারতের আগ্রার সেন্ট জনস কলেজে ছাত্রীদের উদ্দেশে এমনই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আর এ নোটিশ প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের মনে। যদিও সব বিতর্কে পানি ঢেলে দিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই নোটিশটি ভুয়া।
ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি সেন্ট জনস কলেজটি একটি নোটিশ এর মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসে। যেখানে আশিস শর্মা নামে কলেজের অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের অ্যাসোসিয়েট ডিনের স্বাক্ষরও ছিল।
নোটিশে বলা হয়, প্রত্যেক ছাত্রীকেই ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডের আগে একজন বয়ফ্রেন্ড জোগাড় করতে হবে। তাদের নিরাপত্তার জন্যই এ বন্দোবস্ত। যারা বয়ফ্রেন্ড জোগাড় করতে পারবেন না তাদের ওই কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রত্যেক ছাত্রীকেই সপ্তাহখানেক আগে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে তোলা ছবি প্রমাণ হিসেবেও দেখাতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় নোটিশটি। ভারতের যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের একটি কলেজে কীভাবে এ ধরনের নোটিশ জারি হয়, সেই প্রশ্নই তোলেন অনেকে। এ বিতর্কের মাঝেই অবশ্য কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ নোটিশটি ভুয়া।
এ ধরনের কোনো নিয়ম জারি করা হয়নি। এমনকি স্বাক্ষরের জায়গায় যে ব্যক্তির নাম রয়েছে, সেই নামে কলেজে কোনো অধ্যাপক নেই। এই প্রসঙ্গে সেন্ট জনস কলেজের প্রিন্সিপাল ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, এ ধরনের কোনো নোটিশ কলেজ কর্তৃপক্ষ জারি করেনি। এটি ভুয়া। ঘটনার তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের নাম করে কয়েকজন কলেজে ভুয়া বার্তা ছড়াচ্ছে। এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এটা কলেজের সংস্কৃতির বিরুদ্ধ। কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এ কাজ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এ ধরনের বার্তায় পাত্তা দিতে বারণও করা হয়েছে।