চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রাতের আঁধারে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোঃ মোহরম আলী বাদী হয়ে ৬ জন ও অজ্ঞাতনাম ১০/১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন, উপজেলার পশ্চিম শাকপুরা এলাকার মৃত আনু মিয়ার ছেলে নুর মোহাম্মদ(৫৫), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ইসতিয়াক নোমান(৩৫), খিতাবচর এলাকার মৃত ইউসুফ আলমের ছেলে জিয়াউল হাসান (৩২),পশ্চিম শাকপুরা এলাকার মৃত আনু মিয়ার ছেলে আবদুল হাকিম (৫০),চরখিজিরপুর এলাকার মোঃ ইসমাইলের ছেলে মোঃ রুস্তম আলী (৩২),মোঃ ইসমাইল কন্ট্রাক্টর (৪০) মামলার এজাহারে জানা যায়,মোহরম আলীর মালিকানাধীন মুদির দোকান, সেলুন ও সাইকেল পার্টসের দোকানের আর্থিক ক্ষতির লক্ষে বিভিন্ন পায়তারা করছে।
তার প্রেক্ষিতে মোহরম আলী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে বিবাধীরা মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদর্শন করে তার জেরে বৃহস্পতিবার রাত ২.৩০মিনিটের পরিকল্পিতভাবে বর্ণিত বিবাদীগণ অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে অবৈধভাবে দোকানে প্রবেশ করলে কর্মচারী আবুল কাশেম বাধা দিলে তাকে জখম করে।
এ সময় লুট করে নিয়ে যায় ১০টি দুধের কাটুন, ২৫টি চাউলের বস্তা যার মূল্য এক লক্ষ টাকা, সেলুন ও সাইকেল পার্টসের দোকানের তালা ভেঙ্গে জিনিসপত্রদি ভাংচুর করেন যার মূল্য ৪ লক্ষ টাকা ও কর্মচারী আবুল কাশেমের ব্যবহৃত মোবাইল সেট যার মূল্য ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং কর্মচারীর আতর্চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকে হুমকি প্রদর্শন করে চলে যান এবং কর্মচারী আবুল কাশেমকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, শাকপুরা এলাকায় দোকান ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা রুজু করে আসামী গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।