Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শিশু ধর্ষণের তিন রকম রিপোর্ট: এসপিসহ ১০ জনকে তলব

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী ২০২১, ১০:২২ AM
আপডেট: ১৮ জানুয়ারী ২০২১, ১০:২২ AM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের মামলার তিন রিপোর্টে ধর্ষকের বয়স তিন রকম দেয়ায় পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, সিভিল সার্জনসহ ১০ জনকে তলব করেছে হাইকোর্ট। 

রবিবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শাহপরান চৌধুরী।

একই সঙ্গে ওই ঘটনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

শিশু ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে হাইকোর্টে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছেন আদালত। ওই দিন এ বিষয়ে শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতবছর ১১ সেপ্টেম্বর নির্যাতিতার পিতা নাসিরনগর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, ৪ সেপ্টেম্বর তার ৭ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মামলায় আসামির বয়স উল্লেখ করা হয় ১৫ বছর।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে পরদিন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ৮ সেপ্টেম্বর শিশুটিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ অবস্থায় এ বিষয়ে ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি ডাক্তারি প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরইমধ্যে আসামি হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করে। গতবছর ৩ নভেম্বর এ আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এদিন আসামির বয়স প্রমানের জন্য তার জন্মসনদ দাখিল করা হয়।

জন্মসনদ অনুযায়ী তার বয়স ছিল ১০ বছর। এ অবস্থায় হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে একমাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মামলার সিডি এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এরইমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনের ৯(১) ধারায় অভিযোগপত্র দেয়। পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তা ও নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেন। এ সময় জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ১২ সেপ্টেম্বরের দেওয়া একটি ডাক্তারি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এবারের প্রতিবেদনে অসংগতি দেখার পর আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা জেলা সদর হাসপাতালের আরেকটি (গতবছর ২২ নভেম্বরের) প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ অবস্থায় শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আদেশ দিলেন।

Bootstrap Image Preview