Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দেশে মাংস আমদানি বেড়েছে, ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে না তো?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৩:০১ PM
আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৩:০১ PM

bdmorning Image Preview
ছবিঃ সংগৃহীত


বিডিমর্নিং ডেস্কঃ মানুষের খাদ্য তালিকায় মাংস খুব লোভনীয় ও জনপ্রিয়। দিন দিন চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে ব্যাপকভাবে গবাদি পশুর মাংস আমদানি হচ্ছে। দেশীয় বাজার থেকে তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় অভিজাত হোটেল, রেস্তোরাঁ ও সামাজিক অনুষ্ঠানেও চাহিদা বেড়েছে আমদানি হওয়া মাংসের। তবে গবাদি পশুর মাংস আমদানি হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশীয় খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, বাজারে খামারির গরুর চাহিদা কমে গেছে।

এদিকে মাংস আমদানিকারকরা জানান, বিদেশ থেকে গবাদি পশুর মাংস আমদানি ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৪৫ জনের মতো ব্যবসায়ী মাংস আমদানি করছেন। দেশে চাহিদা থাকায় আমদানিও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শুরুতে ৩ থেকে ৪ হাজার টন মাংস আমদানি হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ১০ থেকে ১১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। ভারত থেকেই অধিকাংশ মাংস আসে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও কোরিয়া থেকেও সীমিত পরিমাণে আমদানি করা হয়।

এদিকে আমদানিকারক ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, ভারত থেকে গরুর মাংস আমদানি হচ্ছে না, শুধু মহিষের মাংসই আমদানি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল হক বলেন, বছরে ৯ হাজার টন মাংস আমদানি হচ্ছে। মাংস আমদানি বন্ধ করতে চাইলে আরপিও প্রদান বন্ধ করতে হবে। যারা আমদানি করছে তারা শুল্ক দিয়ে আমদানি করছে। তবে দেশীয় খামারিদের স্বার্থে আমরা মাংস আমদানি নিরুসাহিত করছি।

রাজধানীর এক গরু ব্যবসায়ী জানান, আমদানি করা মাংস গরু, মহিষ না অন্য কোনো পশুর তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এতে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। এসব মাংস বিভিন্ন হোটেলে কেজিপ্রতি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করা করছে। তবে দেশীয় গরু ও মহিষের মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুনতে হয়।

Bootstrap Image Preview