Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভিআইপি ও ডিসিই তিতাসের খুনি

পীর হাবিবুর রহমান
প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০১৯, ০৮:৩০ PM
আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯, ০৮:৩০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


তিতাসকে কে খুন করেছে? মাদারিপুরের ডিসি ওয়াহিদুল? নাকি যুগ্মসচিব সবুর? তদন্ত কমিটি আমলাদের দিয়ে কেনো? সংসদীয় কমিটি করে দোষীদের বের করে, শাস্তি চাই। দেশটা কি একদল আমলা ও ডিসির বাপদাদার? বঙ্গবন্ধুর ডাকে এজন্য কি এতো রক্তে দেশ স্বাধীন হয়েছিলো?

এক ধরনের ডিসি আছে যারা জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ হলেও জেলাপ্রশাসক হয়ে নিজেদের জমিদার মনে করে!কিছু সরকারি কর্মচারী কে বাড়ির চাকর বানায়। তাদের বউরা নিজেদের মহারানী মনে করে।এদের কোন ছেলেবেলা নেই।এর ওর বাড়ি থেকে,খেয়ে থেকে টিউশনি করে বড় হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ডাইনিংয়ে ডালের পাতলা পানিভাত নয় রুমে হিটারে ভাত রেধে আলুভর্তায় খেয়েছে। ছাত্রজীবনের আনন্দভোগ কপালে জুটেনি। মনের দারিদ্রতা মুছেনি,গণমুখী মানবিক হয়নি । হীনমন্যতায় আমলা হয়ে ক্ষমতা দেখায়।

মাদারিপুরে ফেরি সময়মত ছাড়তে কিশোর তিতাসের মা পা ধরে আকুতি জানালেও ছাড়েনি। তিতাসকে বহন করা এ্যাম্বুলেন্স তিনঘন্টা আটকে রেখেছিলো।ডিসি বলেছে,ভিআইপি যাবে!!! তাই বলে তিনঘন্টা এক যুগ্মসচিব জন্য ফেরি আটকে মর্যাদা! বিনিময়ে বিলম্ব হওয়ায় পথেই অধিক রক্তক্ষরণে তিতাস নামের ফুটফুটে শিশুর মৃত্যু!

যুগ্মসচিব নাকি আগে ওখানকার ডিসি ছিলেন। ডিসিতে ডিসিতে মাসতুতু ভাই। এর আগে দুই টিএনও এক ডাক্তার ও এক শিক্ষককে পা ধরিয়েছে। এরা যদি এমপি মন্ত্রী হয়, জনগনকে শায়েস্তা করতে আর কিছু লাগতোনা।এরা ডিসি,টিএনও,যুগ্মসচিব হলেও মানুষ হয়নি। এরা সংখ্যায় কম,কিন্তু বড় ঘটনা, ভয়ংকর অপরাধে শীর্ষে।এসব আমলার চেয়ে জনপ্রতিনিধি অনেক উত্তম। এই দুই খুনীকে বরখাস্ত করে বিচারের কাঠগড়ায় আনা হোক।

(ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া)

Bootstrap Image Preview