প্রযুক্তি ব্যবহার করে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ সম্ভব বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, দেশে প্রযুক্তি ব্যবহার করে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ করা যায়। সেই প্রযুক্তিও আমাদের হাতে রয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীতে নির্মাণাধীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন মোস্তফা জব্বার।
তিনি বলেন, আমাদের হাতে যে প্রযুক্তি রয়েছে, তা ব্যবহার করে হাজার মাইল দূর থেকেও অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কিত সকল তথ্য পাওয়া সম্ভব। আমি খুশি হব, যারা ভবন নির্মাণ করছেন, তারা প্রযুক্তিগত দিক থেকে অন্তত আমাদের পরামর্শ নিলে। নির্মিত ভবনে সেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করুন।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি শিথিলতার কারণে বহুতল ভবন নির্মাণে অনেক অনিয়ম হয়েছে। বিগত সময়ে এটা বেশি হয়েছে। এখন সেগুলো সংস্কার এবং যুগোপযোগী করা সময়ের দাবি। যারা বিল্ডিং কোড অমাণ্য করে ভবন নির্মাণ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
মন্ত্রী বলেন, যেসব ভবনে আগুন লাগছে, সেগুলোতে যা আগুনের শত্রু, সেসবের সবকিছুর সমাবেশ ঘটিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে হঠাৎ ছোট্ট কোনো শর্ট সার্কিটের ঘটনায়ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। তবে আমরা যখন হাইকেট পার্ক করছি, তখন এ সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে তৈরি করা হচ্ছে।’
এর আগে সকাল পৌনে ৬টার দিকে গুলশান-১ এর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মার্কেটে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়।
গত বৃহস্পতিবার বনানীর ২২তলা এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হন। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।