দেশের ইতিহাসে প্রথম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে উচু ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে চুয়াডাঙ্গায়। যেটি বাংলাদেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে উচ্চতম ভাস্কর্য হবে। এ বিষয় জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস এ খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে খবরটি জানাজানি হলে উচ্ছাস প্রকাশ করেন মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ। ভাস্কর্যটি নির্মাণ করবেন বাংলাদেশে ভাস্কর্য নির্মাণের প্রধান পরিকল্পনাকারী মৃণাল হক। এর উচ্চতা হবে একশ ফুট।
এবিষয় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, চুয়াডাঙ্গাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা এবার পূরণ হতে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এবার চুয়াডাঙ্গায় নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। এটি নির্মিত হবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি নির্মিত হলে এটিই হবে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য।
কারণ হিসাবে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে রাজউকের তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধুর যে ভাস্কর্যটি রয়েছে সেটির উচ্চতা ৬৬ ফুট, বিমানবন্দরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক যে ভাস্কর্যটি রয়েছে তার উচ্চতা ৫৩.৫০ ফুট।
জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, আলমডাঙ্গার মেয়র হাসান কাদির গণু, ভাস্কর্য নির্মাতা মৃণাল হকসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে প্রাথমিক জায়গা নির্ধারণ করেন এবং জায়গাটি ঘুরে দেখেন।
জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আজ আমি অনেক আনন্দিত। কারণ চুয়াডাঙ্গাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে।
তিনি জানান, এমন কাজে আমার পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি জেলা প্রশাসনকে।
ভাস্কর্য নির্মাতা মৃণাল হক বলেন, চুয়াডাঙ্গার একশ ফুটের এই ভাস্কর্যটি হবে বাংলাদেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে উচ্চতম ভাস্কর্য। এটি নির্মাণ করতে সময় লাগবে ৫ মাস।