প্রেমের ব্যাপারে প্রেমিক-প্রমিকা সবাই কম বেশি মিথ্যা কথা বলে। আজকাল প্রেমের সম্পর্কে মিথ্যা যেন অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। বিষয়টা এমন দাঁড়িয়েছে যে মিথ্যা না বললে সম্পর্ক টিকবে না। সামান্য কারণে ঝগড়া আর ব্রেক আপ হবে। প্রেম করার সময় নারীরা কী ধরণের মিথ্যা বলে এমনই কিছু মিথ্যা কথা জানুন যেগুলো নারীরা প্রায়ই বলে থাকেন তাদের প্রেমিককে।
সাতটি বিষয়ে মেয়েরা তার প্রেমিক কিংবা সঙ্গীর সঙ্গে প্রায়ই মিথ্যা বলেন। আসুন জেনে নিই সেই সাতটি বিষয়-
নিজের দোষ
নিজের দোষ বা ভুল স্বীকার করতে চান না মেয়েরা। বিশেষ করে স্বামী বা প্রেমিকের সামনে মেয়েরা কখনই নিজের দোষ স্বীকার করেন না। বরং ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এটিই প্রমাণ করতে চান যে, অন্য সবাই দোষী বা ভুল বলছে, কিন্তু তিনি দোষী নন বা তার কোনো ভুল নেই।
অন্য নারী প্রসঙ্গ
স্বামী কিংবা সঙ্গীর মুখে অন্য নারীর প্রশংসা কোনো নারীই সইতে পারে না। এ জন্য অন্য নারীর প্রসঙ্গে অনেক মেয়েই নিজের প্রেমিক বা স্বামীকে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যে কথা বলে থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর পেছনে ঈর্ষা, নিরাপত্তাহীনতা বা হীনমন্যতা কাজ করে।
আগের প্রেম
প্রেমিকের কাছে কোনো তরুণী-ই তার আগের প্রেমের কথা স্বীকার করতে চান না। আগে কখনও প্রেম করেছে এটি স্বীকারই করতে চান না মেয়েরা।
এটিও সত্যি যে পুরুষরাও সেটি শুনতে পছন্দ করেন না। এ বিষয়টি অবশ্য পুরুষের ক্ষেত্রেও অনেকটাই বলা চলে।
বয়স
বয়স সবাই লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। ছেলেরা জন্মদিনে বয়স প্রকাশ করলেও মেয়েরা কিছুতেই এটি প্রকাশ করতে চান না। আর প্রেমিক কিংবা সঙ্গীর সঙ্গে আলাপে বয়স প্রসঙ্গ উঠলে এড়িয়ে যান মেয়েরা।
যদি অগত্যা বলতেই হয় তবে বয়স কমিয়ে বলেন মেয়েরা। এর পেছনে অবশ্য একেকজনের একেকরকম যুক্তি বা উদ্দেশ্য থাকে।
সঙ্গীর উপার্জন
স্বামীর উপার্জন নিয়ে প্রায়ই মিথ্যে বলেন মেয়েরা। বান্ধবী কিংবা পাশের বাসার লোকজনের কাছে বেতন একটু বাড়িয়ে বলেন মেয়েরা। আর শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনের কাছে স্বামীর আয় কমিয়ে বলেন।
ফেসবুক
ফেসবুক-টুইটারে নিজের জীবনের বিষয়ে অযথা মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করেন অসংখ্য মেয়েরা। নিজের যে ব্যক্তিগত বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় না বললেই নয়, সে বিষয়গুলোও অকারণে রঙ ছড়িয়ে পরিবেশন করেন।
নিজের সৌন্দর্যে
নিজের সৌন্দর্য কিংবা রূপচর্চার বিষয়ে নারীরা একেবারেই মুখ খুলতে চান না। অথচ সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য বেশিরভাগ মেয়েরই চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেন না। নানারকম ডায়েট, রূপচর্চা, পার্লারে যাওয়া ইত্যাদি চলতেই থাকে। অথচ কেউ জানতে চাইলে বলেন, আমি কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করি না।
এ বিষয়গুলোতে শুধু মেয়েরাই নয়, কখনও কখনও পুরুষরাও মিথ্যে বলেন।