বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে যখন সরকার সোচ্চার তখন হিন্দু মহাজোটের কমিটি’র লোকজন কলেজ ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীকে বাল্য বিবাহ দিলেন। এ ঘটনায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যকর অবস্থা তৈরী হয়েছে।
গত ২৩ নভেম্বর রাতে হিন্দু মহাজোটের নেতাদের অভিযুক্ত করে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কলেজ পড়ুয়া পংকজ কুমারের বাবা শশী কুমার রায়। অভিযুক্তরা হলেন, প্রেমান্দ রায় (২৭), ডাক্তার অজয় কুমার রায় (৬৫), সুমন্ত কুমার রায় (৫০) তারক নাথ (৫৫), বাদল কৃষ্ণ রায় (৪৫)। এদের মধ্যে ডাক্তার অজয় কুমার হলেন বাল্য বিয়ের শিকার জেএসসি পরীক্ষার্থী নানু। অভিযুক্তরা সবাই হিন্দু মহাজোটের নেতা।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার চলবালা ইউনিয়ের গোপাল রায় এলাকায় কৃষ্ণ কুমারের বাড়িতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংঘ সভা চলছিল। ওই সভায় ডাক্তার অজয় কুমার তার স্কুল পড়ুয়া নাতনীকে নিয়ে আসেন। অনুষ্ঠানে অজয় কুমারের নাতনীর সাথে তেতুলী এলাকার শশী কুমারের ছেলে বারাজান বি এম কলেজ পড়ুয়া পংকজ কুমার রায়ের কথা হয়। পরে পংকজ কুমার রায়কে ডেকে বাড়িতে নিয়ে যায় ডাক্তার অজয় কুমার। এ সময় অজয় কুমার কলেজ পড়ুয়া ছাত্র পংকজকে তার নাতনীকে বিয়ে করতে বলেন। বিয়েতে পংকজ কুমার অস্বীকৃতি জানালে ধর্ষণ মামলা দিবেন বলে হুমকী দেয়া হয়। পরে জোর পূর্বক বিয়ে দিয়ে ছেলে বাড়িতে বর-কন্যাকে নিয়ে যায় হিন্দু মহাজোটের নেতারা। ভোর রাতে পংকজের বাবা শশী কুমারকে ঘুমন্ত অবস্থায় ডেকে তার পুত্র বধুকে ঘরে তুলে নিতে বলেন।
কলেজ পড়ুয়া ছাত্র পংকজের বাবা শশী কান্ত বলেন, ছেলে-মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। বয়স হলে বিয়ে দিতে এতে আমার কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু জোর করে বাল্য বিবাহ দিয়ে যে অপরাধ করেছে তার সাজা কে দিবে। এ দিকে হিন্দু মহাজোটের নেতাদের একাধিকবার মুঠো ফোনে কল করলেও তারা রিসিভ করেনি। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান ও কালীগঞ্জ থানা পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছি।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মুকবুল হোসেন বলেন, ছেলে ও মেয়ে পক্ষ থেকে দুটো অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।