গোয়াল ঘরে গণধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রী

সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় নিজ বাড়ির পরিত্যক্ত গোয়াল ঘরে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৫) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।  

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্রী বলে জানা যায়। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

বালাগঞ্জ থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা য়ায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ওই ছাত্রী কাজের প্রয়োজনে বাইরে বের হয়। এ সময় প্রতিবেশী কয়েকজন বখাটে তাকে ধরে বাড়ির পরিত্যক্ত একটি গোয়াল ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা।

বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি করে এক পর্যায়ে বাড়ির গোয়াল ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় বাড়ির লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।  

খবর পেয়ে বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতউর রহমান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।

গণধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘প্রতিবেশী আবদুল করিমের পুত্র আহাদ আলী ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আইয়ুব আলীর পুত্র আজর আলীসহ তাদের সহযোগী পাঁচ থেকে ছয়জন বখাটে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি, এখনো তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।’

এ দিকে স্থানীয় লোকজন এই এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন। অভিযুক্তরা দ্রুত গ্রেপ্তার না হলে আগামীকাল শনিবার মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য লোকন আহমদ জানান, এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয়দের উদ্যোগে স্থানীয় মাদ্রাসা বাজারে প্রতিবাদ সভার আহ্বান করা হয়েছে। প্রতিবাদ সভা থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজি আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মেয়েটির পরিবার ও প্রতিবেশীর বক্তব্য গ্রহণ করেছি। মেয়েটির পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয় জন জড়িত ছিল। প্রাথমিক অবস্থায় দুই জনের নাম জানা গেছে, তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’