রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫শতাংশ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা সংরক্ষণের দাবিসহ ১১ দফা দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা ও রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী এক্য পরিষদ।
আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
দাবিগুলোর মধ্যে -সকল প্রকার সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত চাকরির প্রিমিলিনারী পরীক্ষা থেকে প্রতিবন্ধী কোটা কার্যকর, সরকারের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদাভাবে পাঁচ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ, সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণ পর্যায়ে তরুণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে প্রতিনিধি রাখা, শিশু ও মহিলা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যেমন মন্ত্রনালয় রয়েছে তেমনি সময়ের দাবিতে প্রতিবন্ধী বিষয়ক একটি মন্ত্রনালয় থাকতে হবে , ‘প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন ২০১৩’ অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা শিথিলসহ প্রভৃতি দাবি জানান তারা।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাড়িয়ে আমাদের যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তা সম্প্রতি প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে তার কোনো প্রতিচ্ছবি আমারা দেখতে পাইনি। বাংলাদেশের বর্তমান প্রায় দেড় কোটি প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী। এ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য আগে এক শতাংশ কোটা ছিল যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। সে এক শতাংশ কোটাও এখন বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোটা আমাদের দাবি নয় কোটা আমাদের অধিকার। তাই প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা না থাকলে আমদের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে আমাদের কোটার প্রয়োজন নেই।’
এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ রাবি শাখার আহ্বায়ক মফিজুর রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল মিয়সহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ০৩ অক্টোবর কোটা বাতিল, পর্যালোচনা ও সংস্কারের জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা বাতিলের প্রস্তাব রেখে যে সুপারিশ করেছিল তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী সভায় সরকারি চাকুরি ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে চাকুরির কোটা বাতিল করার অনুমোদন দেন।