আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর কয়েদির মর্যাদা দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে চেম্বার আদালত। আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলেছেন।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি করে চেম্বার বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী এ আদেশ দেন। আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ সেপ্টেম্বর শহিদুলকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির কয়েদির সুবিধা দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
শহিদুল আলমের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, শহিদুল আলমকে কারাগারে ডিভিশন (প্রথম শ্রেণির মর্যাদা) দেওয়ার বিষয়ে গত ২৭ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কারা কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদনের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গত ২৮ আগস্ট পাঠায়। তবে এখন পর্যন্ত কারা কর্তৃপক্ষের কাছে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরসহ অনুমোদন পৌঁছায়নি। এই দীর্ঘ সময় পার হওয়ার কারণে শহিদুল আলমের পক্ষে প্রথম শ্রেণির বন্দীর সুবিধা চেয়ে রিটটি করা হয়।
প্রসঙ্গত, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এরপর ৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে শহিদুল আলমকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ৬ আগস্ট তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।