Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আমি ফাঁসির বিরুদ্ধে, দরকার দ্রুত বিচার: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২০, ১০:৫৫ AM
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২০, ১০:৫৫ AM

bdmorning Image Preview


গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমরা কি চাই ওদের ফাঁসি দেওয়া হোক? আজকে যারা ধর্ষণ কিংবা যৌন নিপীড়ন করেছে, সেটা যত বড় জঘন্য অপরাধ, যে কর্মকর্তারা ও রাজনীতিবিদরা আমাকে ভোট দিতে দেয়নি সেও তো অপরাধ করেছে। জনসাধারণের সঙ্গে অপরাধ করেছে। তার অপরাধ আর ধর্ষণের অপরাধের মধ্যে কি খুব বেশি তফাত আছে। আজকে যদি এর ফাঁসি দিতে হয় তাহলে ওদেরও ফাঁসি দিতে হবে। তবে আমি পরিষ্কার করে বলি আমি ফাঁসির বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের শেখ রাসেল নগর পার্কের মুক্তমঞ্চে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড এবং নাগরিকের নিরাপত্তা’ বিষয়ক গণসংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যারা এটা (ধর্ষণ) করছে তারা সরকার সৃষ্ট। সরকারের তাবেদার, সরকার এদের দিয়ে চলে। কারণ এরাই ভোটের খালি বক্সকে পূর্ণ করে, এরাই টাকা লুট করে, এরাই হাজার হাজার কোটি টাকা বাইরে পাচার করে। সুতরাং এদের সরকারের প্রয়োজন আছে। সেজন্য আজকে সব থেকে বেশি দরকার দ্রুত বিচার। ফাঁসি দরকার নেই। ফাঁসি একটা মধ্যযুগীয় ব্যাপার। এটা আমাদের মিসলিড করার জন্য। আমাদের হুজুগে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ক্যাসিনো যখন ধরলো আমরা সবাই হই হই করে উঠলাম। ভাবলাম সরকার কি কাজ করছে। কয়েক মাসের মধ্যে ভুলে গেলাম। এসব কেবল সরকারের চালাকি। তারপর সম্রাট, সে ১১ মাস পিজির ভিআইপি ক্যাবিনে কাটালো। অথচ ব্যরিস্টার মঈনুল হোসেন মাটিতে শুয়ে ছিলেন বালিশও দেওয়া হয়নি। মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নিয়ে ২২ মাস আইনের নাম করে ধাপ্পাবাজি করেছে। এসব জায়গাতে সংস্কার প্রয়োজন।’

যৌন নিপীড়ন বন্ধের বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘যৌন নিপীড়ন বন্ধ করতে হলে আমাদের সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্মিলিত সাহসেই বাংলাদেশকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন দেখেছিলাম। আপনাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। এটা সরকার পরিবর্তন না, সম্পূর্ণ নিয়ম পরিবর্তন, সংবিধান পরিবর্তন, ডিজিটাল আইনকে কবরে পাঠাতে হবে। আমার কথা আমি বলতে পারবো না এটা হতে পারে না। এটা আমার দেশ, এখানে আমার জন্ম, আমার পিতা মাতা ভাই বোনের সবকিছু এখানে। তাদের ওপর এ অত্যাচার কোনোভাবেই মেনে নেব না আমরা।’

মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মসজিদের ঘটনায় অর্ধেক লোকের মৃত্যুর যুক্তি সঙ্গত কারণ নাই। ঘটনাটা অনভিপ্রেত। বিভিন্ন দিকে না যেয়ে অন্তত চিকিৎসাটা করা যেত। আপনাদের সব থেকে পুরনো ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল তার বয়সও ১৫০ বছরের বেশি। যখনই কোনো কিছু একটা হয় তখনই সরকার দ্রুত আশার বাণী শুনিয়ে দেয়। আশার বাণী মিসলিডিং হয়। এ হাসপাতালে মরফিন ইনজেকশন থাকলে যন্ত্রণাটা কম হতো।’

তিনি আরো বলেন, ‘পাঁচ লাখ টাকা একটা জীবনের দাম? সরকার বাহবা নিচ্ছে পাঁচ লাখ টাকা করে দিয়ে। না, একটা জীবনের দাম পাঁচ লাখ হতে পারে না। সর্বনিম্ন হলেও ৩০ লাখ হতে হবে। তারপরে পরিবারকে সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।’

গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বী প্রমুখ।

Bootstrap Image Preview