করোনা পরিস্থিতির কারণে এবছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। পরীক্ষার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসিতে মূল্যায়ন করা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি । আর শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানান, মূল্যায়ন হবে আন্তর্জাতিক মানের।
আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে তারা এই তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গত ১ এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে বুধবার দুপুর ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগমুহূর্তে করোনার কারণে এ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এবারের পরীক্ষা হবে কিনা তা জানাতে আজ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় সেটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পরীক্ষার জন্য দ্বিগুণ কেন্দ্র প্রয়োজন হবে। তবে এটি শিক্ষা বোর্ডগুলোর জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। বিষয় কমিয়ে বা সিলেবাস কমিয়েও হয়ত পরীক্ষা নেওয়া যায়। কিন্তু সেটা করলেও কিছু সমস্যা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পরীক্ষার সময়ে কোনো শিক্ষার্থী আক্রান্ত হলে তিনি হয়ত কেন্দ্রে আসতে পারবে না। এক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ কি করছে সেটিও আমরা দেখছিলাম।
দীপু মনি বলেন, বিভিন্ন দেশ তাদের পরীক্ষা বাতিল করেছে কেউ কেউ স্থগিত করেছে। আমাদের কাছে পরীক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ। এসব বিবেচনায় আমরা এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণ না করে ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা ও শিক্ষার্থীদের কোনটি ভালো হবে সেটি দেখতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হকসহ সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।