Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

খরচ ৩ টাকা, আদায় ১০০

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৫:৫৪ PM
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৫:৫৪ PM

bdmorning Image Preview


'জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১' বাস্তবায়নে রংপুরের পীরগাছায় গণনাকারী ও সুপারভাইজার পদে নিয়োগের জন্য বেকার প্রার্থীদের নিকট থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট কাজে ব্যয় করার কথা বলে ১০০ টাকা করে আদায় করা হলেও পরীক্ষায় জনপ্রতি খরচ হয়েছে সর্বোচ্চ তিন টাকা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রার্থী থেকে শুরু করে সচেতনমহল সর্বত্রই বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে পকেট কাটা হয়েছে বলে আলোচনা চলছে। 

উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, 'জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১' বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় থেকে গত ১০ জানুয়ারি একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের মধ্য থেকে সুপারভাইজার পদে ৪০ জন ও গণনাকারী হিসেবে ২২০ জন নেওয়ার কথা বলা হয়। বাছাইশেষে নির্বাচিত প্রার্থীগণ প্রশিক্ষণভাতা হিসেবে প্রতিদিন ৪০০ টাকা করে পাবেন। এ ছাড়া পারিতোষিক হিসেবে সুপারভাইজার পদে ৮৫০০ টাকা ও গণনাকারী পদে ৮০০০ টাকা প্রদান করা হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর উপজেলার বেকার যুবক ও যুব মহিলারা আবেদন শুরু করেন। 

মোট ২৬০টি পদের বিপরীতে আবেদন পড়ে ৩৬৫৬টি। শর্ত পূরণ না করায় ৮০৫টি আবেদন বাতিল করা হয়। আবেদন বেশি হওয়ায় প্রার্থী যাচাই-বাছাই করতে মৌখিক পরীক্ষার পরিবর্তে লিখিত পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে প্রবেশপত্র বাবদ ২৮৫১ জন প্রার্থীর নিকট থেকে ১০০ টাকা করে মোট দুই লাখ ৮৫ হাজার ১০০ টাকা আদায় করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

গত বৃহস্পতিবার প্রার্থী বাছাই করতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এক পাতার একটি প্রশ্নের মধ্যেই উত্তর লিখে নেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র সামালোচনা শুরু হয়। 

আবেদনকারী প্রার্থীদের অভিযোগ, পরিসংখ্যান অফিস থেকে প্রার্থীর যে সংখ্যা দেওয়া হয়েছে বাস্তবে আবেদনকারী তারচেয়েও বেশি রয়েছে। পরীক্ষায় জনপ্রতি তিন টাকা খরচ হয়নি অথচ ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। পরিসংখ্যান অফিসের কতিপয় কর্মচারী টাকার বিনিময়ে আগেই লোক চূড়ান্ত করে রেখেছেন। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে শুধু লোক দেখানো।

গণনাকারী হিসেবে আবেদনকারী শামিউল ইসলাম বলেন, পাশের অন্য উপজেলাগুলোতে টাকা ছাড়াই মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে লোক নেওয়া হয়েছে। অথচ পীরগাছায় লিখিত পরীক্ষার নামে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়। সুপারভাইজার পদে আবেদনকারী শাহানত হোসেন বলেন, জনশুমারির জন্য বেকারদের পকেট কাটা হয়েছে।

উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এস এম শাহনেওয়াজ বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই, তাই অতিরিক্ত টাকা খরচের কোনো সুযোগ নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিদ্ধান্তক্রমে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমীন প্রধান বলেন, নিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্তে টাকা নেওয়া হয়েছে। ওই টাকা পরীক্ষাসংক্রান্ত কাজে ব্যয় করা হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview