Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে কাজের মেয়েকে ‘ধর্ষণ’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৯:২২ PM
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৯:২২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


শ্বশুরবাড়িতে কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে কারাগারে গেছেন ড. মো. মাহমুদুল হাসান (৪১) নামের এক ব্যবসায়ী। গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের ৩৫১/৫ পশ্চিম শ্যাওড়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল বুধবার মধ্যরাতে ১৪ বছরের ভুক্তভোগী ওই গৃহকর্মী বাদী হয়ে ড. হাসানের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় নারীশিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে।

শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ ড. হাসানকে আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

ভুক্তভোগী গৃহকর্মী জানায়, অনেক আগেই তার মা-বাবা মারা গেছেন। দেড় বছর ধরে ড. মো. মাহমুদুল হাসানের শ্বশুরের (মিরপুরের ৩৫১/৫ পশ্চিম শ্যাওড়াপাড়া) বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছে সে। এই বাসায়ই থাকেন ড. হাসানের স্ত্রী। স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুবাদে প্রায়ই শ্বশুরের বাসায় আসেন হাসান। গত ২০ ডিসেম্বর রাতের কাজ শেষ করে ওই কিশোরী তার কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়েটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিলে তার ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে হত্যার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে হাসান। এরপর বিভিন্ন সময় একই হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন ড. হাসান। কোথায় যাবে সে চিন্তা থেকে সব কিছু সহ্য করছিল মেয়েটি।

সর্বশেষ গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গৃহকর্মীকে ফের ধর্ষণ করেন ওই ব্যবসায়ী। হাসানের অপকর্মের কথা তার স্ত্রীকে জানালে তিনিই মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন। হাসানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ভুক্তভোগী কিশোরী।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার এসআই আবদুল কাদের বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ড. মো. মাহমুদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আজ আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বাদীর শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview