স্কুলছাত্রকে বলাৎকার করায় কারাগারে আ’লীগ নেতা

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় দশম শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ।

গ্রেফতার শেখ শহিদুল ইসলাম লালা (৪৮) কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। 

লালা উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ফতেহ আলী সিকদার পাড়া গ্রামের মৃত আবদু শুক্কুরের ছেলে। অপর গ্রেফতার নওশাদ (২২) একই উপজেলার কৈয়ারবিল গ্রামের আবদুল মাবুদের ছেলে।

অপরদিকে বলাৎকারের শিকার গুরুতর অসুস্থ ছাত্রকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ছাত্রের মা বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে কুতুবদিয়ায় থানায় নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।

শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম লালা ও তার সহযোগী নওশাদকে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বলৎকারের শিকার ছাত্রের মা জানান, বৃহস্পতিবার তার সন্তানকে নানান প্রলোভনে ফেলে উপজেলা গেইটস্থ একটি দোকানের পেছনের কক্ষে নিয়ে মুখ বেঁধে দফায় দফায় বলাৎকার করে। পরে তারা ছাত্রকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। পরে ওই ছাত্র ব্যথার যন্ত্রণায় কান্নাকাটি শুরু করলে সন্ধ্যার দিকে ওই ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেয় আওয়ামী লীগ নেতা।

তিনি বলেন, সন্ধ্যায় তার ছেলে অসুস্থ অবস্থায় বাসায় গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার ‘নোংরা কর্মকাণ্ড’ খুলে বলে। পর তাকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাতেই পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা একজোট হয়ে উপজেলা গেটে এসে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে দোকানে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে  আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শহিদুল লালা ও তার সহযোগী নওশাদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস জানান, স্কুলছাত্রকে বলাৎকারের দায়েরকৃত মামলার শেখ শহিদুল ইসলাম লালা ও তার সহযোগী নওশাদ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।