নির্বাচনী প্রচারণার সময় হামলা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সমালোচনা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন কতটুকু নিরপেক্ষ কাজ করছে তা দেখার বিষয়। ইসির উচিত ছিল আগে থেকেই অ্যাকটিভ হওয়া। একজন ম্যাজিস্টেটকে সঙ্গে রাখা।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) আশকোনা হাজী ক্যাম্প থেকে গণসংযোগ শুরুর আগে পথসভায় বিএনপির মনোনীত এই মেয়র পদপ্রার্থী এসব কথা বলেন।
তাবিথ আউয়াল বলেন, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) আমার নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা হয়েছে। আমার অনেক কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা ইসিকে জানিয়েছি। তারা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ৪৮ ঘণ্টা সময় নিয়েছেন। আমরা অপেক্ষা করছি তারা কী পদক্ষেপ নেয়। ইসির উচিত ছিলো আগে থেকেই অ্যাকটিভ হওয়া এবং একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে রাখা।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রাম। মানুষ ভোট দিয়ে জানাতে চায়, কেউ দুর্নীতি আর অপশাসন চায় না। জনগণ ভোট দিতে পারলে ধানের শীষের বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।
ধানের শীষের প্রচারণার পাশেই আওয়ামী লীগের প্রচারণা চলছে। এত সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তাবিথ বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মীরাও তাদের নেতাদের কথা ও কাজ দেখে ঘৃণা প্রকাশ করছে এবং বিরক্ত হচ্ছে। সবাই চায় আনন্দ উৎসবের মধ্যে একটা সুষ্ঠ নির্বাচন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা সেটা চায় না।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট দিয়ে ফলাফল না নিয়ে বাড়ি ফিরবেন না। এটা আপনাদের ন্যায্যঅধিকার। বিএনপির প্রার্থী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।
তিনি আরও বলেন, তাবিথ আউয়ালকে ভোট দিলে মেট্রোপলিটন সরকার করা হবে। আপনারা নিরাপদে রাজধানীতে বসবাস করতে পারবেন।
এ সময় আরও বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম মিল্টনসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।