Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দুবছরে ২০০ বাল্যবিয়ে বন্ধ করে এসিল্যান্ডের রেকর্ড

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০২০, ১০:১৮ PM
আপডেট: ২১ জানুয়ারী ২০২০, ১০:১৮ PM

bdmorning Image Preview


দুই বছরে বাল্যবিয়ে বন্ধে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিছুর রহমান।তিনি জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন তিনি। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকায় ৩১টি, সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৩৭টি ও চৌহালী উপজেলায় ৩৪টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন।

তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে হলে শিশুর স্বপ্ন অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া ছাড়াও বাল্যবিয়ের কারণে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। মা হতে গিয়ে অনেক কিশোরী মা মারা যাচ্ছে। এমনকি সন্তান প্রসবকালে নবজাতকও মারা যায়। নবজাতক বেঁচে থাকলেও অনেক সময় তাকে নানা শারীরিক ও মানসিক জটিলতায় পড়তে হয়।

মো. আনিসুর রহমান বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক মা অপুষ্ট ও প্রতিবন্ধী শিশু জন্মদান করতে পারে। বাল্যবিয়ের কারণে বিয়ে বিচ্ছেদের আশংকা সৃষ্টি ছাড়াও নানা পারিবারিক অশান্তি দেখা দেয়। বাল্যবিয়ে শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি করে না। এটি পারিবারিক, সামাজিক, সর্বোপরি রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধনেও সহায়ক।

তিনি বলেন, আমি প্রথমে ২০১৮ জানুয়ারি মাসে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদান করি এবং সেখান থেকেই বাল্যবিয়ে বন্ধের কাজ শুরু করি। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে যমুনা নদী বিধৌত চৌহালী উপজেলায় ৩৪টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করি। পরবর্তী সময়ে সিরাজগঞ্জ সদরে যোগদান করে অদ্যাবধি ১৬৮টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছি।

এ ছাড়া বাল্যবিয়ে বন্ধ করে জরিমানা আদায় করার পরও পুনরায় বাল্যবিয়ে দিচ্ছে এমন অভিযোগেও সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যা স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন তথ্যপ্রাপ্তির বিষয়ে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমি চৌহালী উপজেলার প্রায় সব উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে ছাত্রীদের অবহিত করেছি। প্রত্যেকটি স্কুলে একটি করে বাল্যবিয়ে নিরোধ কমিটি গঠন করে দিয়েছি। সব ছাত্র-ছাত্রীকে সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের মোবাইল নম্বর এবং ১০৯, ৯৯৯ ও ৩৩৩ নম্বরে বাল্যবিয়ে সম্পর্কে তথ্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই বাল্যবিয়ে অনেকটা কমিয়ে এনেছি। সবার এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এসিল্যান্ড।

Bootstrap Image Preview