Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আসন্ন নির্বাচনে ৫ হাজার শর্টগান, ৫০ হাজার গুলি চায় আনসার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০২০, ০৮:৩৪ PM
আপডেট: ১৯ জানুয়ারী ২০২০, ০৮:৩৪ PM

bdmorning Image Preview


আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ৫ হাজার শর্টগান ও ৫০ হাজার গুলি ইস্যু করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে আনসার বাহিনী।

ডিএনসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়োজিত রোববার (১৯ জানুয়ারি) এক বৈঠকে এ চাহিদার কথা তুলে ধরে বাহিনীটি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধি, গোয়েন্দা প্রতিনিধির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে নির্বাচনে সার্বিক অবস্থা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়।

আনসারের জেলা কমান্ডেন্ট আফজাল হোসেন বলেন, 'দুই সিটির প্রায় আড়াই হাজার ভোটকেন্দ্রে আনসার ও ভিডিপি নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন। এজন্য ৫ হাজার শর্টগান ও ৫০ হাজার কার্টিজ (গুলি) ইস্যু করা প্রয়োজন।'

তিনি বলেন, ‘গত সিটি নির্বাচনে প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১৪জন আনসার সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। এবার কতজন করে রাখা হবে সেটি আগে থেকে জানালে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া যেতো।’

ডিএমপির ডিসি অপারেশন্স প্রবীর কুমার রায় বলেন, 'উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা চলছে। পুলিশকে যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে তা তারা যথাযথভাবে পালন করবেন।'

বিজিবির মেজর করিম বলেন, 'মানসিকভাবে বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। নির্দেশনা পেলেই ভোটের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।'

র‍্যাব-১ এর এসপি নাজমুল ইসলাম বলেন, 'অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে র‍্যাব। এখন পর্যন্ত বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।'

মিরপুর মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু আছে। ইসি থেকে যে নির্দেশনা পাব, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।'

৬, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম বলেন, 'আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব ভাল। আশা করি ভোটের দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।'

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাবেদ সরকার ব্যানার ও পোস্টারের আকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। তিনি বলেন, 'কিছু কিছু পোস্টারের আকার বড় করে ছাপানো হচ্ছে। সেগুলো ব্যানার নাকি পোস্টার তা বোঝা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তিনি নির্দেশনা প্রয়োজন। কিছু কিছু এলাকায় ছোট ছোট ঘরকে নির্বাচনী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি তারা ব্যবহার করতে পারেন কি না, সে বিষয়েও নির্দেশনা প্রয়োজন।'

ইসির উপসচিব ও ভোটের সমন্বয়ক ফয়সাল কাদির বলেন, 'একেকটা এলাকায় একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে ভোট চাইছে। ভোর থেকেই মাইকিং শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এমনকি মসজিদেও ভোট চাওয়া হচ্ছে। এজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্যবস্থা নিতে হবে।'

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বলেন, 'আমরা যদি নির্বাচনী আচরণবিধি মানাতে পারি। তাহলে আমরা নিশ্চিত বলতে পারি পহেলা ফেব্রুয়ারি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারব। ঢাকা উত্তরে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৯টি অভিযোগ পেয়েছি। প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার সময় সব প্রার্থী প্রতিজ্ঞাও করেছেন যে তারা আচরণবিধি মেনে চলবেন।'

'সবাই বলছে এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ভালো আছে। এটা আমাদের জন্য একটি ভালো দিক। আর বাকি যে কয়টা দিন আছে, নির্বাচনী আচরণবিধি মানতে পারি তাহলে ৯৯ ভাগ সফল হবে।'

প্রসঙ্গত, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

Bootstrap Image Preview