তীব্র শীতে মধ্যরাতে মানুষ যখন লেপ-কম্বল মুড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে, তখন স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে জীবন বাঁচাতে নদী সাঁতরে থানায় হাজির হলেন এক গৃহবধূ।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই গৃহবধূর স্বামী রায়হান কবীরকে আটক করেছে পুলিশ। আর নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ কামরুন্নাহার রিনাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছর আগে বিরামপুর উপজেলার বড় বাইলশিরা গ্রামের আবেদ আলীর মেয়ে কামরুন্নাহার রিনার সঙ্গে প্রস্তমপুর গ্রামের রায়হান কবীরের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে চার বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামী রায়হান কবীর প্রায়ই স্ত্রী রিনাকে মারধর করতেন।
বৃহস্পতিবার লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করলে স্বামীর বাড়ি থেকে রাত ১২টায় শাখা যমুনা নদী সাঁতরে পার হয়ে বিরামপুর থানায় এসে হাজির হন রিনা। পরে বিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান তাৎক্ষণিক নারী পুলিশের কাছ থেকে শুকনো পোশাক ও কম্বল দিয়ে শীতের প্রকোপ থেকে তাকে রক্ষা করেন।
বিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তিনি বলেন, ‘রিনার সংসার ঠিক রাখার লক্ষ্যে বিষয়টি উভয়পক্ষ নিষ্পত্তির চেষ্টা করছে। তবে নির্যাতিতা রিনা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আটক স্বামী রায়হানকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘বিষয়টি নিষ্পত্তি না হলে আজ শনিবার মামলা দিয়ে তাকে কোর্টে চালান দেওয়া হবে।’