ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে মজনু। তিনি একাধারে মাদকাসক্ত, ছিনতাইকারী এবং সিরিয়াল রেপিস্ট। ছবি দেখিয়ে ভিকটিমের কাছ থেকে আসামিকে শনাক্ত করা হয়েছে। পৃথিবীর সব চেহারা ভুলে গেলেও এই চেহারা তিনি কোনোদিনও ভুলবেন না বলে জানিয়েছেন ধর্ষণের শিকার সেই ছাত্রী।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) কাওরানবাজারে র্যাব কার্যালয়ে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাসেম সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘মজনু সিরিয়াল রেপিস্ট। এর আগে একই জায়গায় সে এ ধরনের অপরাধ করেছে। প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুকসহ বিভিন্ন নারীকে সে আটকে রেখে ধর্ষণ করতো। তাদের হত্যার হুমকিও দিতো।
আটকের পর মজনু স্বীকার করেছে সে একাই ছিল, ভিকটিমও তেমনই বলেছে। ঘটনার দিন মজনু কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার পর মেয়েটিকে দেখতে পায়। এরপরই সে আলোড়িত হয়। পরে মেয়েটিকে অনুসরণ করে তার পিছু নেয়।
জানা যায়, স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে মজনু আর বিয়ে করতে পারেনি। তাই সে এ ধরনের কাজ করতো।
প্রসঙ্গত, রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপেজে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে।