সন্তানের জন্য মায়েদের ত্যাগের কোন তুলনা হয় না। সন্তান সুস্থ হোক কিংবা প্রতিবন্ধী, মায়ের কাছে সকল সন্তানই সমান। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় সহায় সম্বলহীন চার সন্তানের জননী আনোয়ারা বেগমের মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই নেই। তাই বাধ্য হয়ে একমাত্র বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে কবরস্থানে বাস করছেন ৬০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা।
আনোয়ারা বেগমের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। তারা এখন স্বামী সন্তানসহ অন্যত্র বাস করেন। একমাত্র বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলে আশাকে নিয়ে আনোয়ারা বেগমের বসবাস। বর্তমানে মা-ছেলে দুজনই অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করে কোনোরকমে জীবিকা নির্বাহ করেন।
আনোয়ারা বেগম জানান, ২০ বছর আগে স্বামী বিশারত আলী জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নিজ জমি না থাকায় গত ১০ বছর ধরে কবরস্থানের এক পাশে ভাঙা টিন আর খড় দিয়ে মাটির ঘর তৈরি করে থাকছেন।
তিনি বলেন, কবরস্থানে বাস করা খুবই কঠিন। ভয়ের মাঝে রাত কাটাতে হয়। রাতে শেয়াল-কুকুরের ডাকে ঘুমাতে কষ্ট হয়। এছাড়া যেদিন গ্রামে কোনো মানুষের মৃত্যু হয়, সেদিন মরদেহ দাফনের পর ভয়ে অন্যের বাড়ির বারান্দায় রাত কাটাই।
স্থানীয়রা জানান, কবরস্থানে বসবাসের ফলে এর পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু মানবিক কারণে অসহায় মা-ছেলে বসবাস করলেও তাদের সেখান থেকে সরানো হচ্ছে না।
সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ