Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দৌলতখানে তীব্র শীতে শিশুদের অবস্থা নাজেহাল

দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:১৫ PM
আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:১৫ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


ভোলার দৌলতখান উপজেলায় টানা ৫ দিনের শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। দিনে সূর্যের দেখা তেমন না মেলায় তাপমাত্রা নিম্নগামী থেকে যাচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় কাজে যেতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পরছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।

এদিকে হঠাৎ করে ঠান্ডা পরার কারণে শিশু ও বৃদ্ধারা শ্বাসকষ্ট, সর্দি, জ্বর, ডায়েরিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আজ (২৯ ডিসেম্বর) দৌলতখান হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, তীব্র শীতে বেশি ভুগছে শিশুরা। দৌলতখান হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার অচিন্ত কুমার ঘোষের কাছে ৫ দিনের শৈত্যপ্রবাহে ৩০৬ জন শিশু রোগী শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়ে প্রায় ২৮০ শিশু চলে গেছেন। এদের মধ্যে গুরুতর  শ্বাসকষ্ট এবং ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে  চিকিৎসা নিয়েছেন বাকী শিশুরা।

দৌলতখান হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার অচিন্ত কুমার ঘোষ জানান, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭০ জন শিশুকে চিকিৎসা দিয়েছি। এদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, ডায়েরিয়া, সর্দি, জ্বর আক্রান্ত রোগী বেশি।‘

এদিকে দৌলতখান হাসপাতালে ১০দিনের কনকনে শীতে ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পুরুষ-মহিলাসহ ৬৩ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর অসুস্থরা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আনিছুর রহমান  জানান, ‘শীতে বাচ্চা ও বয়স্কদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজন না থাকলে সকাল সকাল বাড়ী থেকে বের হওয়া যাবে না, বের হলেও শীতে নাক কান গলার জন্য শীতবস্ত্র ব্যবহার করতে হবে।

এদিকে তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পরেছেন দৌলতখানের চরাঞ্চলের মানুষরা। কনকনে শীতে খড়-কোটা জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন তারা। তীব্র শীতে চরাঞ্চলের শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হলেও চরাঞ্চলে থেকে যান। চরাঞ্চলের জাহাঙ্গীর নামে এক যুবক জানান শীতে মেঘনা পাড়ি দিয়ে আসতে শিশুদের আরো দুর্ভোগে পরতে হয়, তাই তারা আসে না।

Bootstrap Image Preview