অসুস্থ হয়ে চালক জ্ঞান হারানোর পর ট্রামটি দ্রুতগতিতে ছুটে যাচ্ছিল কোনও স্টপে না থেমে। আতঙ্কিত যাত্রীরা পুলিশের কাছে ফোন করে সাহায্য চাইছিলেন। এরকম পরিস্থিতিতে যে ‘ইমার্জেন্সি ব্রেক’ কাজ করার কথা, সেটিও বিকল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুজন যাত্রী চালকের কেবিনে ঢুকে ট্রামটিকে থামাতে সক্ষম হন। খবর বিবিসি বাংলার।
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বনে গত রোববার এই ঘটনা ঘটেছে। ট্রামের চালক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তার নিজের আসনেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর কোনও স্টেশনেই না থেমে ট্রামটি দ্রুতগতিতে ছুটে যাচ্ছিল।
ট্রামের যাত্রীরা তখন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা ইমার্জেন্সি নম্বরে ফোন করতে থাকেন। এরপর দুজন যাত্রী দরজা ভেঙে ট্রামের চালকের কেবিনে ঢোকেন। সেখানে তারা দেখেন, চালক পড়ে আছেন, তার কোনও সাড়া মিলছে না।
এক নারী যাত্রী এরপর ট্রাম কোম্পানিতে ফোন করেন কিভাবে ট্রামটি থামানো যায় তার উপায় জানার জন্য। এরপর যাত্রীরা ট্রামটিকে শেষ পর্যন্ত থামাতে সক্ষম হন।
বনের মেয়র অশোক শ্রীধরন স্থানীয় একটি সংবাদপত্রকে জানান, এরকম বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে যাত্রীদের যা করা উচিৎ ছিল, তারা তাই করেছেন। তারা সম্ভবত জীবন বাঁচিয়েছেন। তবে ট্রাম কোম্পানি তাদের কোনও গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছে।
তারা বলছে, ট্রামে যে ‘ইমার্জেন্সি ব্রেক লিভার’ আছে, সেটির কাজ ট্রাম থামানো নয়, চালককে সতর্ক করে দেয়া, যাতে তিনি যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং ট্রামটিকে থামাতে পারেন।
চালক যখন জ্ঞান হারান, তখন সতর্কবার্তা পাঠানোর যে ব্যবস্থা ট্রামটিতে ছিল, সেটিও ঠিকমত কাজ করেনি। অসুস্থ ট্রাম চালক এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর যে সাহসী যাত্রীরা ট্রামটি থামিয়েছিলেন, তারা সামান্য আঘাত পেয়েছেন।