Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

শেরপুরে বিএসএফের গুলিতে নিহত ২ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:৪৩ PM
আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:৫৪ PM

bdmorning Image Preview


শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে উকিল মিয়া (৩০) ও খোকন মিয়া (২৫) নামে বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ভারতের সীমানায় ১০৯১ পিলার সংলগ্ন মারিং পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত উকিল মিয়া পার্শ্ববর্তী মেঘাদল গ্রামের বঙ্গ সুরুজ আলীর ছেলে ও খোকন মিয়া মাটিফাটা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। সোমবার দুপুরে সীমানার ১০৯১ ও ১০৯২ পিলার সংলগ্ন কুমারগাতি ও পানবাড়ি এলাকা থেকে নিহত দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহতরা গরু চোলাচালানের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা, বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন যাবৎ শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুমারগাতি ও পানবাড়ির ১০৯১ ও ১০৯২ পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে গরু চোরাচালান হচ্ছে। রবিবার রাতে একদল গরু চোরাকারবারি ভারতের মারিংপাড়া এলাকা দিয়ে চোরাইপথে গরু নিয়ে আসার সময় বিএসএফ তাদেরকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে বিএসএফ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে উকিল মিয়া ও খোকন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়।

পরে আহত অবস্থায় উকিল মিয়ার সহযোগিরা তাকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে পানবাড়ি এলাকায় নিয়ে এলে সে মারা যায়। এ সময় তার সহযোগিরা তাকে জঙ্গলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। অপর দিকে খোকন মিয়া গুলি বিদ্ধ হয়ে মারিংপাড়া ব্রীজের নিচে পড়ে সেখানেই মারা যায়। সোমবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিজিবি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুপুরে উকিল মিয়া ও বিকালে খোকন মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুজল মিয়া জানান, চোরাই পথে গুরু নিয়ে আসার সময় বিএসএফ তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে তারা দু’জন নিহত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাক মজনু জানান, স্থানীয় কিছু লোক গরু চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত। রাতে চোরাইপথে গরু নিয়ে আসার সময় বিএসএফের গুলিতে ওই দুইজন নিহত হয়েছে।

এদিকে এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হ্যেছে। এতে বিজিবি এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান। বিজিবির ময়মনসিংহের ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক শহিদুর রহমান ও ২৬ বিএসএফের অধিনায়ক বিশাল রানে পতাকা বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।

Bootstrap Image Preview