Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্কুলের শিক্ষক হয়েই কোটিপতি, এবার হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:২২ PM
আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:২২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


শিক্ষকতা ছেড়ে এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চর আদিত্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খলিলুর রহমান সিরাজী। তিনি বর্তমানে কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে কোটিপতির খাতায় নিজের নাম লিখিয়েছেন খলিল। তার অঢেল সম্পত্তি দেখে হতভম্ব গ্রামবাসী। এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে যান তিনি।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জ শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় নিজের ও স্ত্রীর নামে প্রায় সাড়ে ৫ শতক জমির ওপর পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন খলিল। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মানিকদিঘা মৌজায় রয়েছে তার ১৯ শতক জমি। বর্তমানে একটি টয়োটা করোলা (ঢাকা মেট্রো গ-১৯০৩০৪) গাড়ি ব্যবহার করছেন তিনি। সোনালী ব্যাংক কাজীপুর শাখায় ৫০ লাখ টাকার এফডিআর আছে খলিলুর রহমানের। তাছাড়া ঢাকার মিরপুরে, গাজীপুরের কোনাবাড়িতে ও বগুড়ার লতিফপুর এলাকায় তার কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এলাকাবাসীর দেয়া এক অভিযোগপত্রে বেরিয়ে এসেছে খলিলুর রহমানের এসব সম্পত্তির খোঁজ। গত ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ অভিযোগপত্র পাঠানো হয়।

দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গত ১০ বছরে একজন স্কুলশিক্ষক কীভাবে কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন তার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে অভিযোগপত্রে।

দুদক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্থানীয়দের দেয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে খলিলুর রহমান সিরাজী বলেন, আমাকে হেয় করতে এসব অভিযোগ করেছে প্রতিপক্ষ। সিরাজগঞ্জ শহরে বাড়ি ও বগুড়ার শাহজাহানপুরের ১৯ শতক জমি ছাড়া অভিযোগপত্রে উল্লেখিত আর কোনো সম্পত্তি নেই বলে দাবি করেন তিনি।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের আটটি উপজেলায় খলিলুর রহমান সিরাজী ছাড়াও চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে দুইজন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) দুইজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছে দুইজন। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তারা।

নির্বাচিতরা হলেন- চেয়ারম্যান পদে কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন ও উল্লাপাড়া উপজেলায় সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শফি।

ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উল্লাপাড়া উপজেলায় মনিরুজ্জামান পান্না ও শাহজাদপুর উপজেলায় লিয়াকত আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উল্লাপাড়া উপজেলায় রিবলি ইসলাম কবিতা ও শাহজাদপুর উপজেলায় এলিজা খান।

মঙ্গলবার রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে তিনটি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল না। তাই তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুটি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লাপাড়া উপজেলায় তিনটি পদেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

Bootstrap Image Preview