মহাসড়কের পৃথক দুই স্থানে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের এবং অপর আরেকজন তিনদিন পর জ্ঞান ফিরে এখন আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
মৃত ব্যক্তি হচ্ছেন, নাটোরের বড়াইগ্রামের রয়না চকপাড়া গ্রামের আব্দুল রাজ্জাক মন্ডলের ছেলে মোরাদ আলী মন্ডল (৪০)। তিনি ঢাকায় দর্জির কাজ করতেন।
তিনদিন পর জ্ঞান ফিরে পাওয়া অপরজন হচ্ছেন, উপজেলার জোয়াড়ি রামাগাড়ি গ্রামের আফতাবউদ্দিন বাবলু মাস্টারের ছেলে ও রাজশাহী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী (সম্মান) শেষ বর্ষের ছাত্র আজনানি হাসান রাজু (২২)।
নিহতের ছেলে সজিব আহমেদ জানান, শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার বাবা ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু পরে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনবেলঘড়িয়া বাইপাস এলাকা থেকে পুলিশ অজ্ঞাত মরদেহটি উদ্ধার করার পর সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন মোরাদের লাশ সনাক্ত করে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়ে খাবার খেলে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি ধারণা করে বলেন, বাসের লোকজন ঝামেলা এড়ানোর জন্য তার লাশ মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়।
অপরদিকে ওই একইদিন শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজু বাড়ি ফেরার পথে পাশের সীটের পঞ্চাশোর্ধ এক যাত্রী তাকে ডাব খাওয়ায় এবং এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে বাসের লোকজন তাকে বানেশ্বর এলাকায় নামিয়ে দিলে সেখান থেকে স্থানীয়রা পুলিশ ও পরিবারকে খবর দেয়।
পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনদিন পর তার জ্ঞান ফিরে। অজ্ঞান পার্টি তার কাছ থেকে একটি দামী মোবাইল সেট ও নগদ ৪ হাজার টাকা নিয়ে নেয়।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী দুই ঘটনারই সত্যতা স্বীকার করেছেন।