তরুণ নেতা এ্যাড. জামাল হোসেনের জন্মদিন আজ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, তরুন রাজনীতিবিদ এ্যাড. জামাল হোসেন মিয়ার ৩৯ তম জন্মদিন আজ মঙ্গলবার।

১৯৭৯ সালের এই দিনে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা তালমা ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মরহুম আবু শহীদ মিয়া, মাতা বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা দেলোয়ারা বেগম, বড় ভাই ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য কামাল হোসেন মিয়া।

জামাল  হোসেন  ১৯৯৩ সালে নগরকান্দা থানার তালমা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে প্রথম রাজনীতি শুরু করেন। পরের বছর তিনি একই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে দক্ষিণবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগ শাখার যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।

পরে ১৯৯৮ সালে ছাত্রলীগের প্যানেলে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদেরে এজিএস নির্বাচিত হন। ২০০০ সালে একই প্যানেলে সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস নির্বাচিত হয়। তিনি ২০০১ সালে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। জামাল মিয়া ২০০৮ সাল থেকে ১১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপির এপিএস হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১১ সালে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দলের কাজ করে আসছেন। এর মধ্যে ২০১৫ সালে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদ হিসাবে জামাল মিয়া জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন পরিচালনা করেছিলেন। ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্টপুত্র শেখ রাসেল এর নামে প্রতিষ্ঠিত 'শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের' পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সম্মানীত সদস্য পদে নিরলসভাবে কাজ করছেন।

জাতির জনকের আদর্শ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ছাত্রজীবন থেকে কাজ করে আসছেন তরুন এ নেতা। আপানমস্তকে খাটি এই মানুষটি বঙ্গবন্ধুর এক নির্ভেজাল সৈনিক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও শিক্ষা বুকে লালন করে বড় হওয়া বিশিষ্ট এ তরুন নেতা, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে নগরকান্দা-সালথা এলাকার মানুষের সাথে গড়ে তুলেছেন নারীর সম্পর্ক।

এ আঞ্চলের গরীব-দু:খী খেটে খাওয়া অসহায়-স্বম্বলহীন মানুষের মাঝে আবির্ভূত হয়েছেন প্রিয় মানুষ হিসেবে। তাইতো ঢাকার রাজনীতিতে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকার পরেও এলাকার প্রাকৃতিক দুর্যোগে, উৎসব পার্বণে, অসহায় দু:স্থদের প্রতি দেন সাহয্যের হাত বাড়িয়ে। এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরসহ প্রায় জায়গায় রয়েছে তার সহানুভবতার ছোঁয়া। এসব করার কারণেই জামাল হোসেন আজ নগরকান্দা-সালথার মানুষের কাছে জীবন্ত কিংবদন্তী ও দানবীর হিসাবে খ্যাতি পেয়েছেন।