Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নোয়াখালীর গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সোহেল গ্রেফতার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:২৪ PM
আপডেট: ০২ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:২৪ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে চার সন্তানের জননীকে (৩২) গণধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত এ মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০১ জানুয়ারি) রাতে ও বুধবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা ও লক্ষীপুর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সোহেল সূবর্ণচরের মধ্য বাগ্যা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে। গ্রেফতার অপর দুই আসামি হলেন- চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে স্বপন (৩৫) ও একই গ্রামের আহমদ উল্লার ছেলে বাসু (৪০)।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, বুধবার দুপুরে কুমিল্লার বরুরা উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।

এরআগে, মঙ্গলবার রাতে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে মামলার তিন নম্বর আসামি স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সোমবার মামলার ছয় নম্বর আসামি বাসুকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে বুধবার দুপুরে মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের একটি কমিটি নোয়াখালীতে আসেন। তারা হাসপাতালে ওই নারীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। পরিদর্শনের সময় কমিটির প্রধান মানবাধিকার কমিশনের পরিচারক আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর বলেন, ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য ও ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তাদের তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেওয়া হবে। এরপর বিকেলে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

অভিযোগ উঠেছে- নির্যাতিতা নারীর স্বামী বাদী হয়ে একই গ্রামের ইউপি সদস্য রুহুল আমিন, মোশাররফ হোসেন, বাদশা, সোহেল, হেঞ্জু, সোহেল, বেচু, জসিম, স্বপন, মো. হানিফ, আবুল, আনোয়ার, আমির হোসেনসহ ১৩ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করলেও খোরশেদের ছেলে ইউপি সদস্য রুহুল আমিন, চান মিয়ার ছেলে হেঞ্জু, ইউছুফ মাঝির ছেলে আনোয়ারসহ ৪ জনকে অভিযোগ থেকে বাদ দিয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা এজাহারভুক্ত করেন ওসি।

সূত্র জানায়, ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার জেরে গত রোববার রাত ১১টায় উপজেলা চর জুবলি ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে সিএনজিচালক মো. সিরাজ, ছেলে আবদুল কুদ্দুছ ও শিশু ইয়ানুরকে বেঁধে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাদের সামনেই গৃহবধূর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। ওই গৃহবধূকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগের লোকজন গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ওই নারীসহ তার স্বামী-সন্তানদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক মমতাজ বেগম ও সিনিয়র নার্স সাজেদা বেগমসহ অপর নার্সরা জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে কামড়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে।

এ সংবাদ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত হলে পুলিশ-প্রশাসনসহ সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। পরে পুলিশ গত মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের আহাম্মদ উল্লার ছেলে বাদশা আলমকে গ্রেফতার করে।

এদিকে একই দিনে একই গ্রামের মৃত আবদুল মন্নানের ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী স্বপনকে লক্ষ্মীপুর এবং বুধবার ইসমাইলের ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী মো. সোহেলকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

চর জব্বর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, আহত সিএনজিচালকের স্ত্রীকে সন্ত্রাসীরা ধর্ষণ করায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Bootstrap Image Preview