ধানের শীষে প্রতিকে নির্বাচন করছে জামায়াত

সামনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে জিততে নিজেদের প্রার্থী ঠিক করছে দল-জোটগুলো। এ দিকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত পালটে ফেলেছে জামায়াত।

নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না। তাই সমসাময়ীক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জামায়াত এখন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করার কথা ভাবছে।

আরপিও অনুযায়ী, স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে চাইলে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক সই থাকতে হয়। তাদের ভোটার নম্বরসহ বিস্তারিত পরিচয় দিতে হয়। জামায়াতের আশঙ্কা, সমর্থনকারীদের কাউকে চাপ দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যদি বলানো হয়, জোর করে সই নেওয়া হয়েছে বা সই ভুয়া, তাহলে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাবে।

তা ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকেও ধানের শীষ প্রতীক ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিএনপির আরেক শরিক ঐক্যফ্রন্ট নেতারাও এতে আপত্তি করবে না।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সূত্রে জানা যায়, স্বতন্ত্র পরিচয়ে নির্বাচন করার দলীয় সিদ্ধান্ত থাকলেও পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে তা বদল হতে পারে। ২০-দলীয় জোটের অন্য শরিকদের মতো জামায়াতও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে পারে।

সূত্র আরও জানায়, প্রতীকের বিষয়টি দলীয় ফোরামে আলোচনা চলছে। বিএনপির সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হওয়ার আগেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা যায়, জামায়াত নেতারা ৬৪টি আসনে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। জোটগতভাবে অন্তত ৩৫টি আসন চান তারা। কম আসন দেওয়া হলে বেশ কিছু আসনে জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেখা যেতে পারে।

এ ছাড়াও ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন। জামায়াত যেসব আসন ছাড় দেবে না তার মধ্যে ঢাকা-১৫ একটি।

দলটির বেশ কিছু নেতাকর্মী জানান, স্বতন্ত্র নাকি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া হবে, এ সিদ্ধান্ত না হওয়ায় তারা মনোনয়নপত্র জমা দেননি। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা দলীয় মনোনয়নের চিঠি সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে জামায়াতের প্রার্থীদের জন্য।

এর আগে ২০০৮ সালে ৩৮ আসনে নির্বাচন করা জামায়াত ৩৩টিতে জোটের মনোনয়ন পেয়েছিল। এবার দুটি আসন বেশি চায়। জামায়াত ধানের শীষে নির্বাচন করলে এমপি ও ভোট বিএনপির ঘরেই যাবে। তাই বেশি সংখ্যক আসন ছাড়তে বিএনপি রাজি হবে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।