Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত উভয় দেশ, শুরু ১৫ নভেম্বর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৮, ১১:১৪ AM
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮, ১১:১৪ AM

bdmorning Image Preview


মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত নেয়ার ব্যাপারে ১৫ নভেম্বর দিনক্ষণ ঠিক করেছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার। প্রথম ধাপে যাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে তাদের অনেকে জানেন না, কখন, কিভাবে, কোন পথে যাবেন।রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম ফলপ্রসূ করার জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছে প্রশাসন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুরুতে টেকনাফের কেরুনতলিঘাটের ট্রানজিট পয়েন্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি এখন প্রত্যাবাসন শুরুর অনুকূলে।

উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয়রাও রোহিঙ্গা ভারমুক্ত হওয়ার আশায় বুক বেঁধেছে। তবে ৩০টি আশ্রয় শিবিরে প্রত্যাবাসনবিরোধী কয়েকটি চক্র অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

সব মিলিয়ে ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হচ্ছে এতে কোনো সন্দেহ নেই বলে জানালেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে যে ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, একইভাবে মিয়ানামারও প্রস্তুত।

মংডু কোয়াংচিবন এলাকার বাসিন্দা উখিয়ার থাইংখালী জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গা হোছন আহাম্মদ (৪২) বলেন, কয়েকদিন আগে একজন লোক এসে আমাদের ১৫ নভেম্বর মিয়ানমার ফিরে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে বলেন। এখনও জানি না কিভাবে, কোন পথে প্রত্যাবাসন হচ্ছে।

মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উখিয়ার কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তিনি উখিয়া কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পও ঘুরে দেখেন। বার্গনার বলেন, নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকা ও এশিয়ার শরণার্থী ও প্রত্যাবাসনবিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী রিসার্ড অলব্রাইট বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিরাপদ, মর্যাদা ও স্বেচ্ছামূলক হওয়া উচিত বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

এর জন্য মিয়ানমারের রাখাইনে আরও উন্নত পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। রাখাইনে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিভিন্ন দাতা সংস্থাকে অবাধে কাজ করার সুযোগ দেয়া দরকার। রোববার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শনের শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পরিদর্শনের সময় ‘ইউএসএডি’ বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ডেরিক ব্রাউনসহ ক্যাম্পে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দল কুতুপালং টিভি রিলে কেন্দ্র সংলগ্ন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এর আগে প্রতিনিধি দলটি সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি শূন্যরেখার কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করেছেন।

Bootstrap Image Preview