এক অপরিচিত ভাড়াটিয়া সিদলের ভর্তা খাইয়ে বাড়ির মালিকসহ ৪ জনকে অচেতন করে নগদ প্রায় ২ লাখ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণালংকার, ৬টি মোবাইলসহ সর্বস্ব লুট করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধুলিয়াখাল গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অসুস্থরা ব্যক্তিরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত হায়দার আলীর পুত্র বাড়ির মালিক বিকাশ ব্যবসায়ী বিলাল উদ্দিন (৫০), তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪০), শ্বাশুরী লিল বানু (৫৫) এবং অপর ভাড়াটিয়া জুয়েল মিয়ার স্ত্রী পল্লী চিকিৎসক সুমি আক্তার (২২)।
তাদের মধ্যে আনোয়ারা বেগমের জ্ঞান ফিরলে তিনি জানান, ধুলিয়াখাল জেলখানার পশ্চিমের বিলাল মিয়ার বাড়িতে গত ১ নভেম্বর স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এক দম্পতি বাড়ি ভাড়া নেয়। নাম জানায় ইমন। বাড়ি বি-বাড়িয়া জেলার নাসিরনগর পূর্ব পাড়া এবং ইমন চা পাতা ব্যবসায়ী বলে জানায়। এরই মধ্যে সখ্যতা গড়ে তুলে বাড়ির মালিক ও অপর বাড়াটিয়ার পরিবারের সাথে।
বুধবার (৭ নভেম্বর) রাতে ভাড়াটিয়া ইমনের স্ত্রী সিদলের ভর্তা করে বাড়ির মালিক বিলাল উদ্দিন ও অপর ভাড়াটিয়া জুয়েল মিয়ার ঘরে দেয়। উভয় পরিবারের লোকজন রাতে সিদলের ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় প্রতারক ভাড়াটে ইমন ও তার স্ত্রী বিলাল উদ্দিনের ঘর থেকে নগদ ১লাখ ৭৪ হাজার টাকা, ৬ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, ৬টি দামী মোবাইল ও কাপড়চোপড়সহ অন্যান্য মালামাল এবং ভাড়াটিয়া জুয়েল মিয়ার ঘর থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা, ১টা গলার চেইনসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সারাদিন বাড়িতে লোকজনের নড়াচড়া না পেয়ে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। ফলে সন্ধ্যার দিকে লোকজন বিলাল উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান বাহির থেকে ঘরের দরজা আটকানো। দরজা খুলে ভেতরের ঘরের লোকজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। সাথে সাথে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুর রহমান সোহাগ জানান, নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তাদেরকে অচেতন করা হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে।